জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ হোসাইন হত্যাকাণ্ডে নতুন মোড় এসেছে।
ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে আলোচনায় আসা মাহির রহমানকে তার মা নিজেই থানায় হস্তান্তর করেছেন।
মাহিরের মা রেখা রহমান জানান, রবিবার রাতে রক্তাক্ত অবস্থায় ছেলে বাসায় ফিরলে তিনি কারণ জানতে চান। পরে মাহির জানায়, পুরান ঢাকার আরমানিটোলা এলাকায় ঘটে যাওয়া ঘটনার সময় তার হাতে আঘাত লাগে।
তিনি আরও বলেন, “আজ সকালে ছেলেকে আমি নিজেই চকবাজার থানায় নিয়ে যাই। অপরাধ করেছে, তাই পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছি। অন্য ছেলেটিও তো কারও সন্তান।”
থানা সূত্রে জানা গেছে, মাহিরকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিস্তারিত জানাতে রাজি হননি। তিনি শুধু জানান, এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে, তদন্তের স্বার্থে এখনই তাদের নাম প্রকাশ করা হবে না।
এদিকে দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার মল্লিক আহসান উদ্দিন সামি জানান, জোবায়েদ হত্যার ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। আগামীকাল (মঙ্গলবার) এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
জোবায়েদ হোসাইন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন এবং ছাত্রদলের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন।
রোববার পুরান ঢাকার আরমানিটোলার একটি বাসার সিঁড়ি থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি ওই বাসায় টিউশনি করতেন।
ঘটনা সম্পর্কে মাহিরের মা আরও বলেন, “ওই দিন সন্ধ্যায় জোবায়েদ টিউশনিতে যাওয়ার পথে মাহিরের সঙ্গে দেখা হয়। তখন দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে দুর্ঘটনাবশত জোবায়েদ মারা যায়।”
তিনি আরও জানান, “আমার ছেলের সঙ্গে ওই মেয়ের (বর্ষা) দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিল। ছোটবেলা থেকে একসঙ্গে বড় হয়েছে তারা। কিছুদিন আগে মেয়েটি সম্পর্ক না রাখার সিদ্ধান্ত জানায়, এরপর থেকেই ওদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়।”
নিহত জোবায়েদ হোসাইন। ছবি: সংগৃহীত