
জয়পুরহাটে এবার কোরবানীর জন্য তিনলাখ প্রাণী কোরবানীর জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। দেশীয় প্রাকৃতিকভাবে খাবার খাওয়ায়ে লালন পালন করেছেন খামারীরা। ইতিমধ্যে বিভিন্ন হাট বাজারেও তুলেছেন এসব প্রানীগুলোকে। তবে বিদেশী প্রাণী বাজাওে উঠা নিয়ে শংকা প্রকাশ করেছেন এসব খামারীরা
জেলায় এবার কুরবানির জন্য চাহিদা রয়েছে প্রায় ১ লাখ ৬৬ হাজার ৩৮৫ টি পশু। কিন্তু জেলায় এবার কুরবানি যোগ্য উৎপাদিত পশু প্রস্তুত করা হয়েছে ৩ লাখ ৯ হাজার ২৭১ টি যা প্রয়োজনের তুলনায় ১ লাখ ৪২ হাজার ৮৮৬ টি বেশি। জেলার ৫ উপজেলার ছোট-বড় প্রায় ১২ হাজার ২২৮টি খামারিরা এসব কুরবানির গরু প্রাকৃতিকভাবে পালন করেছে। এর মধ্যে তালিকা ভুক্ত খামার রয়েছে সাড়ে ৩ হাজার। এসব প্রানীকে দেশীয় খাবার খিলে মানুষ করেছেন খামারীরা।
জয়পুরহাটে সদর উপজেলার নতুনহাটে পৌর এলাকার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান (মিলন) প্রতিদিনের সংবাদ কে বলেন আমি এই গরুটা কিনছিলাম শখের বয়সে লালন পালন করার জন্য নিজস্ব জায়গায় আমার গরুটার রেখে দেশীয় খাবার খেয়ে বড় করছি জাস্ট এটা আমার শখ । এবং ন্যাচারাল ভাবে ন্যাচারাল খাবার খেয়ে তাকে আমি বড় করেছি আর এখন ঈদের বড় মৌসুম গরুর মারকেটে চাহিদা আছে বাট এত বড় গরু আশে পাশে যে হাটগুলা রয়েছে যে হাট গুলোতে নিয়ে যাওয়া অনেক কষ্টকর এই কারণে আপনাদের কাছে চাওয়া ক্রেতারা আমার নাম্বারে ০১৭৩৫১৬৮৯৬৫ ,যোগাযোগ করলে আমার হ্যাজ কিং প্রাইস দশ লক্ষ টাকা আপনারা যারা নিতে চান আলোচনা সাপেক্ষে দামদর করা যাবে ।
জয়পুরহাটে আক্কেলপুর উপজেলার কানুপুর ডেইলি ফার্ম গ্রামের বাঁধন হোসেন প্রতিদিনের সংবাদ কে বলেন এবার ঈদে দামটা মনে হয় একটু বেশিই থাকবে। গত ঈদে যে গরু চার লাখে বিক্রি হয়েছে, এটা কিনতে এবার ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা বেশি লাগবে। তবে, শেষ সময়ে দামটা আবার কমেও যেতে পারে। যদি শেষ সময়ে ভারত থেকে গরু আসা শুরু করে, তাহলে হয়তো দাম অস্বাভাবিক কমে যাবে। সেরকম কিছু হলে দেশি ব্যবসায়ীরা লোকসানে পড়ে যেতে পারেন
গরুর খাবারের দাম এক বছর আগের তুলনায় অনেক বেড়ে গেছে। এই খামারে আমাদের গরু আছে ৫৪টা। সেগুলোর জন্য চার দিনের খাবার আমরা মিক্সড করেছি, যার খরচ প্রায় এক লাখ টাকা। কাঁচা ঘাস, ধানের কুড়া, দুই জাতের ভুসি, ছোলা ও মশুরিসহ বিভিন্ন ধরনের খাবারের মিশ্রণ থাকে এখানে।
মহির উদ্দিন, জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার অধিদপ্তর জয়পুরহাট এর সুফল হিসেবে এবার জেলায় নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত মোট ছোট-বড় প্রায় ১২ হাজার ২২৮টি খামারিরা প্রাকৃতি ও নিরাপদ পদ্ধিতে গরু পালন করেছে। খামারিরা কোন রকম রাসায়নিক প্রক্রিয়া ছাড়াই প্রাকৃতিক উপায়ে জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস প্রযোজনীয় পরামর্শ ও চিকিৎসা নিয়ে পশু প্রতি-পালন করছে। খামারিরা প্রাকৃতিক ভেজাল মুক্ত পশু পালন করায় তাদের দাম ও ভাল পাওয়ার আশা করছে। খামারিরা প্রাকৃতিক ভেজাল মুক্ত পশু পালন করায় তাদের দাম ও ভাল পাওয়ার আশা করছে।