
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, জলবায়ু ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় টেকনিক্যাল ও ফিন্যান্সিয়াল সাপোর্ট অপরিহার্য। বাংলাদেশের অবস্থানকে শক্ত করতে প্রশাসনের ভেতরে গবেষণা, নীতি প্রণয়ন ও অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি জরুরি। ১০০ বিলিয়ন ডলারের জলবায়ু তহবিল নিয়ে দীর্ঘদিন আলোচনা চলছে, কিন্তু এর বাস্তবায়নে এখনও ঘাটতি রয়েছে।
রবিবার (২৬ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিবেশ অধিদফতরের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান বলেন, জলবায়ু আলোচনায় আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদার করতে বাংলাদেশ, ভুটান ও নেপালকে নিয়ে একটি কার্যকর গ্রুপ গঠন করা গেলে তা হবে অত্যন্ত ইতিবাচক পদক্ষেপ। পরিকল্পিত যোগাযোগ, তথ্য আদান-প্রদান ও যৌথ উদ্যোগই জলবায়ু কূটনীতিকে আরও শক্তিশালী করবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ অনেক কিছু শিখেছে, তবে ক্লাইমেট জাস্টিস, ফান্ডিং, প্রজেকশন এবং শ্রমিকদের স্বার্থ—এই ক্ষেত্রগুলোতে আরও সক্রিয় হতে হবে। প্রতিবাদ ও ভালোবাসা থাকলেও বাস্তবায়নের ঘাটতি রয়ে গেছে, তাই এখন সমন্বিত উদ্যোগই একমাত্র পথ।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মো. কামরুজ্জামান এনডিসি। এ সময় বক্তব্য রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন উইং) মোহাম্মদ নাভিদ শফিউল্লাহ, জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ড. আইনুন নিশাত, যুগ্মসচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) ধরিত্রী কুমার সরকার এবং পরিচালক (জলবায়ু পরিবর্তন ও আন্তর্জাতিক কনভেনশন) মির্জা শওকত আলী।
অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ নাভিদ শফিউল্লাহর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উন্মুক্ত আলোচনায় দেশের জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ও অ্যাক্টিভিস্টরা অংশ নেন। তারা আসন্ন কপ-৩০ সম্মেলনে বাংলাদেশের পক্ষে আরও জোরালো ও কৌশলগত অবস্থান উপস্থাপনের আহ্বান জানান।