জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বিসিসিটি ফান্ডের আওতায় ১৮ প্রকল্প অনুমোদন

বাংলাদেশ চিত্র ডেস্ক

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় সারাদেশে টেকসই পানি ব্যবস্থাপনা, নদী পুনঃখনন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার ও পরিবেশবান্ধব জীবিকা গঠনের লক্ষ্যে ১৮টি নতুন প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টি বোর্ড (বিসিসিটি)।

রবিবার (১০ নভেম্বর) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের সভাপতিত্বে সচিবালয়ে বোর্ডের ৬৫তম সভায় এসব প্রকল্প অনুমোদন করা হয়।

সভায় জানানো হয়, অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে বাগেরহাট, নওগাঁ, খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি জেলায় ‘প্রাকৃতিক সম্পদ, নবায়ণযোগ্য জ্বালানি ও নিরাপদ পানির মাধ্যমে জলবায়ু সহনশীল পরিবেশ গঠন’ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।

এছাড়া নাটোর জেলার বড়াইগ্রামে বড়াল নদী ও মির্জা মাহমুদ খাল পুনঃখনন, মুন্সীগঞ্জে রজতরেখা নদী পুনঃখনন, জামালপুরের ইসলামপুরে আলাই ও যমুনা নদীর তীর সংরক্ষণ এবং লক্ষীপুরের চরশাহীতে তীর সংরক্ষণ প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে।

সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ, দেবহাটা ও আশাশুনি উপজেলায় টেকসই প্রযুক্তির মাধ্যমে সুপেয় পানি সরবরাহের প্রথম ধাপের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। বাগেরহাটের তিনটি উপজেলায় বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ প্রকল্প এবং পটুয়াখালীর গলাচিপায় সোলার প্যানেল পাম্প হাউজ স্থাপন করে পানি সরবরাহের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

পটুয়াখালী পৌর এলাকায় রিভার্স ওসমোসিস প্লান্টের মাধ্যমে পানি বিশুদ্ধকরণের প্রকল্প, সেন্টমার্টিন দ্বীপে পরিবেশবান্ধব বিকল্প জীবিকা সহায়তা প্রকল্প, চট্টগ্রামের পটিয়ায় নিরাপদ পানি সরবরাহ প্রকল্প এবং নোয়াখালীর চাটখিলে খাল পুনঃখনন ও জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পও অনুমোদিত হয়েছে।

এছাড়া রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলার সব উপজেলায় নিরাপদ পানি সরবরাহের জন্য পৃথক তিনটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।

সভায় উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলায় সরকারের প্রধান লক্ষ্য হলো জনগণকে নিরাপদ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা। এসব প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে উপকূলীয়, পার্বত্য ও খরা-প্রবণ অঞ্চলে জলবায়ু সহনশীলতা বৃদ্ধি পাবে এবং স্থানীয় জনগণের জীবনমান উন্নত হবে।’

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন কৃষি ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, বিসিসিটি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক গাজী মো. ওয়ালি-উল-হক এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা।

Share This Article