শামীম আলম : জামালপুরে বিএডিসি সেচ কমপ্লেক্স জামে মসজিদের নাম ভাঙ্গিয়ে ঠিকাদারের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন নির্বাহী প্রকৌশলী (ক্ষুদ্রসেচ) কার্যালয়ে কর্মরত সহকারী হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা এবায়দুল্লাহ। মসজিদ কমিটির সাধারন সম্পাদক মো: ইসাহাক আলী এ ব্যাপারে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। একক কর্তৃত্তে ভূয়া বিল-ভাউচারে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগও উঠেছে তার বিরুদ্ধে। নির্বাহী প্রকৌশলী মসজিদের টাকা আত্মসাতের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন এই ঘটনা আমি এখানে যোগদানের আগে ঘটেছে। মসজিদ কমিটির সাধারন সম্পাদক ইসাহাকের অভিযোগে জানা যায়, জামালপুর শহরের ফুলবাড়িয়ায় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (ক্ষুদ্রসেচ)-বিএডিসি কার্যালয়ে কর্মরত সহকারী হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা এবায়দুল্লাহ। ২০১৮ সাল থেকে বিএডিসির আওতায় বিএডিসি সেচ কমপ্লেক্স জামে মসজিদের নামে প্রতিটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে টাকা নিয়ে আসছেন এই কর্মকর্তা। তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন ওই এলাকার স্থানীয় মুসুল্লিরা। কোনো ঠিকাদারের প্রকল্পের টাকার চেক পাস হলেই মসজিদের জন্য কিছু টাকা দিতে হয়। মসজিদের নাম করে বিভিন্ন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের দান করা এসব অর্থ কৌশলে তা আত্মসাৎ করেন। শুধু তাই নয় সহকারী হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা ক্ষমতার অপব্যবহার করে তার অধস্তন কর্মচারীদের বেতন-ভাতা নিয়ে অনিয়ম করে আসছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। বিএডিসি জামালপুর জোনের সহকারী প্রকৌশলী মো: আকরামুজ্জামান বলেন, আমি কোন এক শুক্রবারে মসজিদে নামাজ পড়তে গেলে স্থানীয় মুসুল্লিরা আমাকে বলেন সহকারী হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা এবায়দুল্লাহর কাছে দুই লক্ষ টাকা আছে। মসজিদের কোষাধ্যক্ষের কাছে ওই অর্থ জমা না দিয়ে সে অনেক দিন যাবৎ তালবাহানা করছেন। পরে বিষয়টি আমার উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করলে ঘটনার সত্যতা পাই। তবে সেই টাকা সে খরচ করে ফেলেছে। এখন স্থানীয় মুসুল্লিরা বলছেন এই কর্মকর্তা দীর্ঘদিন যাবৎ বিএডিসির মসজিদের টাকা আত্মসাৎ করেছেন। আমরা মসজিদের টাকা ফেরত চাই এবং তার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। নির্বাহী প্রকৌশলী (ক্ষুদ্রসেচ) কার্যালয়ের সহকারী হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা এবায়দুল্লাহ বলেন, মসজিদে জমাকৃত ১ লক্ষ ২০ হাজার অফিসের কাজে ব্যায় করে ফেলেছেন। জামালপুর জোন বিএডিসি’র সহকারী প্রকৌশলী (সওকা) মো: আকরামুজ্জামান বলেন, মসজিদ কমিটির মাধ্যমে আমি জানতে পেরেছি ২০১৯ সাল থেকে সহকারী হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা এবায়দুল্লাহর কাছে দুই লক্ষ টাকা আছে। এর পরিপেক্ষিতে আমি নির্বাহী প্রকৌশলীকে জানালে তিনি বিষয়টি স্বীকার করেছেন। জামালপুর রিজিয়ন বিএডিসি’র নির্বাহী প্রকৌশলী (ক্ষুদ্রসেচ) মো: কায়সার আহমেদ মুন্সী বলেন, এই বিষয়গুলো আমি আসার আগে ঘটেছে, আমি শুনেছি।