জামালপুরে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে একজনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড

বাংলাদেশ চিত্র ডেস্ক







আসমাউল আসিফ : জামালপুরে সাত বছর বয়সী এক কন্যাশিশু ধর্ষণের অভিযোগে শহিদ মিয়া (৪৩) নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও এক লক্ষ টাকা অর্থদন্ড প্রদান করেছে আদালত। বুধবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মো: শহিদুল ইসলাম এই রায় ঘোষণা করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো: রেজাউল আমিন শামীম জানান, গত ২০১৬ সালের ২৭ এপ্রিল ভোর বেলা মেলান্দহ উপজেলার দিলালেরপাড়া গ্রামের আছাদুল্লাহ ও তার স্ত্রী খোদেজা বেগম তাদের সাত বছর বয়সী কন্যাশিশু আখিঁ আক্তারকে ঘরে ঘুমন্ত অবস্থায় রেখে পার্শবর্তী হামিদুল কারীর বাড়িতে ধান সিদ্ধ করছিলেন। এ সময় ঘরে কেউ না থাকার সুযোগে প্রতিবেশী শহিদ মিয়া ওই শিশুকে ঘুমন্ত অবস্থায় জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে শিশুটি রক্তাক্ত অবস্থায় হামিদুল কারীর বাড়িতে গিয়ে তার বাবা-মাকে ঘটনাটি অবহিত করে। এরপর ওইদিনই শিশুর বাবা আছাদুল্লাহ মেলান্দহ থানায় ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। মামলায় গত ২০১৮ সালের ১২ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। মামলায় দশ জন সাক্ষীর সাক্ষের ভিত্তিতে সন্দেহাতীতভাবে ধর্ষণের বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় বিচার প্রক্রিয়া শেষে আজ দুপুরে আসামী শহিদ মিয়ার উপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করেন বিচারক। রায়ে আসামী শহিদ মিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও এক লক্ষ টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়। শুরুতে রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন পবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট শাহ মো: এনায়েত হোসেন। পরবর্তীতে নিয়োগপ্রাপ্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মো: রেজাউল করিম শামীম মামলাটি পরিচালনা করেন। আসামীপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট মো: রফিকুল ইসলাম জুলহাস। রাষ্ট্রপক্ষ এই রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করলেও আসামীপক্ষ অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে উচ্চ আদালতে আপীল করার কাথা জানিয়েছে।


Share This Article