জামালপুরে ৬৫ বছর আগের খননকৃত ঐতিহ্যবাহী গবাখাল পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান

বিল্লাল হোসাইন, জামালপুর :

বিল্লাল হোসাইন, জামালপুর :

“আমরাই পারি, আমরাই পারবো আমার শহর, আমিই গড়বো” এই শ্লোগান নিয়ে শহরের জলাবদ্ধতার দূর করার জন্য জামালপুরে ৬৫ বছর আগের খননকৃত ঐতিহ্যবাহী গবাখাল পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ,দূষণ ও দখলমুক্ত করতে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। সদর আসনের সংসদ সদস্য মোঃ আবুল কালাম আজাদ এর আহ্বানে প্রশাসন ও হাজারো স্থানীয় জনগণ এই কর্মসূচিতে অংশ নেন।

শুক্রবার (৩১ মে) সকালে শেখেরভিটা থেকে শুরু করে মনিরাজপুর, ছুটগড়, সিংড়িবিল, পলিশা, ধোপাকুড়ি, নাকাটি ও দামেশ্বর হয়ে কেন্দুয়া কালবাড়ি বাজার সংলগ্ন ঝিনাই নদীতে সংযোগ হওয়া খালটির এসব পয়েন্টে এ অভিযান করা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোঃ শফিউর রহমান, পুলিশ সুপার মোঃ কামরুজ্জামান বিপিএম, পৌর মেয়র মো: ছানুয়ার হোসেন ছানু, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নবনির্বাচিত সদর উপজেলা চেয়ারম্যান বিজন কুমার চন্দ, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ব ম জাফর ইকবাল জাফু, ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাসুম রেজা রহিম, জামালপুর পরিবেশ রক্ষা আন্দোলনের সভাপতি জাহাঙ্গীর সেলিম সহ আরও অনেকে।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলার সকল সরকারি দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, পৌরসভার কাউন্সিলবৃন্দ, জেলা আওয়ামী লীগ, পৌর আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মী, বিভিন্ন সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যবৃন্দ।

এসময় স্থানীয়রাও খাল পরিষ্কারে অংশ নিয়ে পানিতে নামেন। এ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান যেন অব্যাহত রাখা হয় এ দাবি জানান তারা।

সদর আসনের সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ বলেন,
বঙ্গবন্ধু যা শিখিয়েছেন যে সেটা হচ্ছে নিজে কাজ করে উদাহরণ সৃষ্টি করা। প্রধানমন্ত্রীও তাই করেন। প্যান শাট পড়ে দাঁড়িয়ে না থেকে আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে আমরাও নিজেরা কাজ করে সাধারণ মানুষদের উবুদ্ধ করা। সেই সাথে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে খালের পাড়ে বসবাসকারী স্থানীয়দের সচেতন হতে হবে ও সকলের সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে আজকের এই অভিযান । তিনি আরও বলেন ধারাবাহিকভাবে জামালপুরের সব খাল দখল ও দুষণমুক্ত করা হবে।

জানা যায়, পরিবেশ ও মানবকল্যাণের কথা চিন্তা করে আজ থেকে প্রায় ৬৫ বছর আগে গবাখাল খনন করা হয়। জামালপুর শহরের জলাবদ্ধতা, বন্যার কবল থেকে রক্ষার পাশাপাশি কৃষি উৎপাদন ও মৎস্য আহরণের লক্ষ্যে ১৯৬০ প্রায় ৬৫ বছর আগে এই খাল খনন করা হয়।এই খালটি ১২ কিলোমিটার দীর্ঘ ও ৩০ ফুট প্রশস্ত ছিল। শেখেরভিটা থেকে শুরু করে মনিরাজপুর, ছুটগড়, সিংড়িবিল, পলিশা, ধোপাকুড়ি, নাকাটি ও দামেশ্বর হয়ে কেন্দুয়া কালবাড়ি বাজার সংলগ্ন ঝিনাই নদীতে সংযোগ করা হয়।

Share This Article