
জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেছেন, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি এবং মোট পাঁচ দফা দাবি জানিয়ে আসছে জামায়াত। পিআর পদ্ধতি সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। সময় হলে মানুষ এটাও বুঝবে। কেয়ারটেকার পদ্ধতির মতো পিআর পদ্ধতিও বাংলাদেশে কার্যকর ও গ্রহণযোগ্য হবে।
তিনি সতর্ক করে বলেন, যদি জামায়াতের পাঁচ দফা দাবি মেনে নেওয়া না হয়, তাহলে পুনরায় গণআন্দোলন সূচনা হবে।
শুক্রবার বাদজুমা নগরীর কোর্টপয়েন্টে কেন্দ্র ঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচির অংশ হিসেবে সিলেট মহানগর জামায়াত আয়োজিত গণমিছিল পূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
সমাবেশ শেষে কোর্টপয়েন্ট থেকে বিশাল গণমিছিল বের হয়ে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট প্রদক্ষিণ করে চৌহাট্টা পয়েন্টে শেষ হয়।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগরী আমির মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম। যৌথ পরিচালনায় ছিলেন সহকারী সেক্রেটারি জাহেদুর রহমান চৌধুরী ও মাওলানা ইসলাম উদ্দিন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন- জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য, সিলেট জেলা আমীর ও সিলেট-১ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী মাওলানা হাবিবুর রহমান।
বক্তব্য রাখেন- জেলা নায়েবে আমির ও সিলেট-২ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী অধ্যাপক আব্দুল হান্নান, মহানগর নায়েবে আমির ড. নূরুল ইসলাম বাবুল, সিলেট-৩ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মাওলানা লোকমান আহমদ, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন সিলেট মহানগর সভাপতি অ্যাডভোকেট জামিল আহমদ রাজু, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সিলেট মহানগর সভাপতি শাহীন আহমদ এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবির সভাপতি তারেক মনোয়ার।
সমাবেশে উল্লেখ জুবায়ের করেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্রব্যবস্থা সংস্কারের জন্য যে ঐকমত্য কমিশন গঠন করেছে, সে কমিশন আট মাস ধরে ৩৩টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে মতবিনিময় করেছে এবং কমিশনের বেশ কিছু প্রস্তাবে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হয়েছে।
তিনি বলেন, যেই প্রস্তাবে একমত হয়েছে তাতে জুলাই অধ্যাদেশ জারির বিষয়টিও রয়েছে; সেজন্য দ্রুত গণভোট বা প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া গ্রহণের আহ্বান তুলেছেন।