জামিনে বের হয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার হামলা: বিএনপির ছয় নেতাকর্মী আহত

বাংলাদেশ চিত্র ডেস্ক

একটি মামলায় পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার বাকাল ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক হেমায়েত সিকদার।

ওই মামলায় আদালত থেকে জামিনে বের হয়ে গ্রেপ্তারের পেছনে বিএনপির কয়েকজন নেতাকর্মীর যোগসূত্র রয়েছে দাবি করে হেমায়েত সিকদার ও তার লোকজনে হামলা চালিয়ে বিএনপির ছয়জন নেতাকর্মীকে আহত করেছে।

গুরুতর আহতদের উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার (৫ নভেম্বর) দিবাগত রাতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত বিএনপির নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন-হামলার ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

আহত সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বাকাল ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হেমায়েত সিকদারকে গত ৩ নভেম্বর রাতে থানা পুলিশ একটি মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ের মামলায় গ্রেপ্তার করেন। পরেরদিন তাকে বরিশাল আদালতে সোর্পদ করা হলে বিচারক তার জামিন মঞ্জুর করেন।

বরিশাল জেলা উত্তর বিএনপির সাবেক সদস্য আব্দুল মান্নান শেখ জানিয়েছেন, ওই গ্রেপ্তারের পেছনে তার (মান্নান) এবং তারই অপর ভাই বিএনপি কর্মী হান্নান শেখের হাত রয়েছে বলে হেমায়েত দায়ী করেন। এ কারনে বুধবার দুপুরে পয়সারহাট বন্দরে আব্দুল মান্নান শেখের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এসে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক হেমায়েত সিকদারের নেতৃত্বে ১৫/২০ জনের একটি দল হামলা চালায়।

হামলায় আব্দুল মান্নান শেখ ও তার ভাই হান্নান শেখ গুরুতর আহত হন। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পৌঁছে হামলাকারীদের বাধা প্রদান করায় বাকাল ইউনিয়ন জিয়া মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক তানভীর শেখ, ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক অলিদ শিকদার, ওয়ার্ড বিএনপির কর্মী রুবেল শেখ, খান মার্কেটের মালিক বাবু খানকে হেমায়েতের নেতৃত্বে তার সহযোগীরা মারধর করে আহত করেন। পরবর্তীতে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করেছেন।

তবে হামলার অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করে অভিযুক্ত বাকাল ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি সদস্য হেমায়েত সিকদার মোবাইল ফোনে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের জানিয়েছেন, রাজনীতি করেছি, তবে জীবনে কারো কোনদিন ক্ষতি করিনি। তারপরেও আব্দুল মান্নান শেখ ও তার ভাই হান্নান শেখ পুলিশ দিয়ে নাটকীয়ভাবে আমাকে গ্রেপ্তার করিয়েছে।

এ ব্যাপারে আগৈলঝাড়া থানার ওসি মো. অলিউল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পূর্বেই হামলাকারীরা পালিয়ে গেছে। হামলার ঘটনায় এখনও কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Share This Article