জুলাই সনদের মাধ্যমে আমরা বর্বরতা থেকে সভ্যতায় আসলাম: ড. ইউনূস

বাংলাদেশ চিত্র ডেস্ক

জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। প্রথমে স্বাক্ষর করেন বিএনপি, জামায়াতসহ উপস্থিত রাজনৈতিক দলের নেতারা। পরে স্বাক্ষর করেন জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের চেয়ারম্যান ড. ইউনূস।

অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেন, প্রথমে মনে হচ্ছিল বেশিরভাগ বিষয়ে ঐক্য করা সম্ভব না। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলো সেই অসম্ভব কাজকে সম্ভব করেছেন। এটা ইতিহাস হয়ে দেশ এবং সারা পৃথিবীতে উদাহরণ হয়ে থাকবে।

ড. ইউনূস বলেন, আমরা বর্বরতা থেকে সভ্যতায় আসলাম এই সনদের মাধ্যমে। আমরা এমন সভ্য হবো যাতে বিশ্ব আমাদেরকে ঈর্ষা করে। বাংলাদেশকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে চাই। আর তর্ক বিতর্ক না করে দেশীয় সম্পদ বিশেষ করে বঙ্গোপসাগরকে কাজে লাগিয়ে অনেক উন্নতি করতে পারি। আমাদের সামনে বিরাট সুযোগ।

তিনি বলেন, গণ অভ্যুত্থানের সেই নায়ক যারা শহীদ হয়েছেন আহত হয়েছেন তাদের কারণেই আজ আমরা একমত হতে পেরেছি। সেজন্য তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। নতুন বাংলাদেশ গঠনে তাদের বিরাট ভুমিকা রয়েছে। এই পরিবর্তন সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। আমাদের নব জন্ম হলো। এই স্বাক্ষরের মধ্য দিয়েই নতুন বাংলাদেশ গড়ার যাত্রা শুরু হলো। এই দেশ তরুণদের দেশ।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, নতুন সিঙ্গাপুর হতে পারে বাংলাদেশ, যদি আমাদের বঙ্গোপসাগর এবং তাকে ঘিরে আন্তর্জাতিক বন্দর গড়ে তুলতে পারি।

ড. ইউনূস বলেন, আমরা কারো দয়া দাক্ষিণ্যে চলি না। আমরা মাথা উঁচু করে দাঁড়াব। আজকে এই যে সনদে সই হলো তা শিখতে বহু মানুষ আমাদের কাছে আসবে। বিশ্ব আজ আমাদের দিকে অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে। আজকে যে ঐক্যের সুর রচনা হলো সেই সুরেই আমরা নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাব। ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন। সেই নির্বাচন এবং ভবিষ্যতে যেন এই এক্য থাকে সেই বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের পর ৭ মিনিটের একটি স্বল্প দৈর্ঘ্য চলচিত্র প্রদর্শন করা হয়। যেখানে জুলাই গনঅভ্যুত্থান এবং এর পরবর্তী কার্যক্রম তুলে ধরা হয়। তুলে ধরা হয় ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের নানা দুঃশাসন আর নির্যাতনের চিত্র।

পরে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় ও ফটোসেশনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান।

Share This Article