লক্ষ্য ১৮১। ১৭ ওভার শেষে রান ২ উইকেটে ১৬৫। ১৮ বলে দরকার ২৫ রান, হাতে ৮ উইকেট। এই ম্যাচও কিনা অবিশ্বাস্যভাবে হেরে বসলো রাজস্থান রয়্যালস, হাতে ৫ উইকেট রেখে! হ্যাঁ, আইপিএলে রুদ্ধশ্বাস এক ম্যাচে রাজস্থান রয়্যালসকে ২ রানে হারিয়েছে লখনৌ সুপার জায়ান্টস। ৮ ম্যাচে ৫ জয়ে পয়েন্ট তালিকার চারে উঠে এসেছে রিশাভ পান্তের দল। সমান ম্যাচে ষষ্ঠ হারের স্বাদ পেয়েছে রাজস্থান।
জসশ্বী জয়সওয়াল আর বৈভব সূর্যবানসির ৫২ বলে ৮৫ রানের উদ্বোধনী জুটিতে রান তাড়ায় শক্ত ভিত পায় রাজস্থান। সূর্যবানসি ২০ বলে ৩৪ আর জয়সওয়াল ৫২ বলে খেলেন ৭৪ রানের ইনিংস। অধিনায়ক রিয়ান পরাগ করেন ২৬ বলে ৩৯। ১৮ ওভারে তিনি আউট হওয়ার পর ধ্রুব জুরেল, সিমরন হেটমায়ার আর শুভাম দুবে রান তাড়া করতে পারেননি। ৫ উইকেটে ১৭৮ রানে থামে রাজস্থান। এর আগে ১৯ ওভার শেষে লখনৌ সুপার জায়ান্টসের রান ছিল ৫ উইকেটে ১৫৩। শেষ ওভারে আবদুল সামাদ ঝলক দেখালেন। সন্দিপ শর্মার ওই ওভারে চার ছক্কা হাঁকালেন ডানহাতি এই ব্যাটার। তার ১০ বলে ৩০ রানের ক্যামিওতে ভর করে ৫ উইকেটে ১৮০ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি দাঁড় করায় লখনৌ।জয়পুরে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে লখনৌ সুপার জায়ান্টসের এইডেন মার্করাম ঝোড়ো শুরু করলেও টপঅর্ডারের বাকি ব্যাটাররা সুবিধা করতে পারেননি। মিচেল মার্শ ৬ বলে ৪, নিকোলাস পুরান ৮ বলে ১১ আর রিশাভ পান্ত ৯ বল খেলে ফেরেন মাত্র ৩ রানে।
৩১ বলে ফিফটি করেন মার্করাম। ৫৪ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর আয়ুশ বাদোনির সঙ্গে জুটি গড়েন তিনি। এই জুটিতে আসে ৪৯ বলে ৭৬ রান।
৪৫ বলে ৫ বাউন্ডারি আর ৩ ছক্কায় ৬৬ করে থামেন মার্করাম। ৩৪ বলে ৫ চার আর ১ ছক্কায় ৫০ করেন আয়ুশ। কিন্তু এই দুজন ছাড়া বাকিরা দলের জন্য সেভাবে অবদান রাখতে না পারায় অল্পতেই থামার শঙ্কায় ছিল লখনৌ। কিন্তু শেষ ওভারে আবদুল সামাদ চমক দেখিয়েছেন। ১০ বলে ৪ ছক্কায় তার ৩০ রানের ইনিংসটি লখনৌকে এনে দিয়েছে স্বস্তি।