উন্নয়নের জোয়ারে দেশ
উন্নয়নে শেখ হাসিনার নতুন নতুন মাইলফলক স্পর্শ
যমুনার ভরা যৌবন,
চৌহালীর মানচিত্র করে যাচ্ছে ধ্বংস।
ভাঙা-গড়ার খেলা চলছে,
যুগের পর যুগ ক্ষিপ্ততার ছাপ রেখে!
সর্বহারা নিঃস্ব মানুষের কেউ থাকে না পাশে
কাঁদেনি তো কেউ নদীভাঙ্গা মানুষের দুঃখে।
দাদার গড়া ভিটা আমার আগলিয়ে রাখা বাপের স্মৃতি
মিশে যায় ধ্বংসী রাবনী যমুনায় স্রোতে
বেরিবাঁধের লোভ দেখানো আশ্বস্ত করা এমপি-মন্ত্রীরা
দুই চারটি বস্তা আর লোকদেখানো ত্রাণ আনে হাতে।
এভাবেই যুগ যুগ ধরে করেছে আশ্বস্ত তারা
নিয়েছে ভোট আমাদের; দিয়েছে মিথ্যে প্রতিশ্রুতি
বিগত বারো তেরো বছরে ক্ষীপ্ত নদী,
শত হাজার বিঘা ভূমি বসতভিটা নদী হয়েছে রাতারাতি।
ভিটে নাই আপন মাটি ও নাই ; এই ছিল শেষ সম্বল
কোথায় যাবো, কি করবো, ভাবনা অশ্রুঝরা চোখে
কেউ থাকে মানচিত্র কামড়ে ধরে, কেউ যায় আশ্রয়ে
আবার কেউবা ছেড়ে যায় জন্মভূমি স্মৃতিচিহ্ন রেখে।
ভাঙ্গে নদী স্বাধীনতা তার, নদী ভাঙা মানুষের
স্বপ্নের হয় মরন; আয় রোজগারের পথ হয় বন্ধ
বিদ্যা মুখস্থ করা সেই জ্বালাময়ী ভাষণ এর জনপ্রতিনিধিরা
স্বার্থ উন্নয়নে ব্যাস্ত, নদী ভাঙা মানুষের উন্নয়নে তারা হৃদয়, মন, মস্তিষ্ক অন্ধ।
নদীভাঙ্গা মানুষ আমরা চাইনি ল্যাম্পপোস্টের আলো,
পিচঢালা রাস্তা, ব্যক্তি উন্নয়ন, ক্ষুধার্ত থাকায় খাদ্যের স্বাদ!
উন্নয়নের শিরোনামে দেশ;
বঞ্চিত অসহায় নদী ভাঙা মানুষের একটিই দাবী টেকসই স্থায়ী বেরি বাঁধ।