টেলিযোগাযোগ অধ্যাদেশ ২০২৫-এর খসড়া প্রকাশ, দেওয়া যাবে মতামত 

বাংলাদেশ চিত্র ডেস্ক

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের প্রণয়ন করা ‘বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ অধ্যাদেশ ২০২৫’-এর খসড়া প্রকাশ করেছে। সংশ্লিষ্ট অংশীজন ও সাধারণ নাগরিকদের মতামত নেওয়ার উদ্দেশে খসড়াটি বিভাগের ওয়েবসাইটে উন্মুক্ত করা হয়েছে।

বুধবার (৫ নভেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। 

এতে বলা হয়, প্রস্তাবিত অধ্যাদেশে ইন্টারনেট বন্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপসহ বিদ্যমান আইন ও নীতিতে একাধিক মৌলিক ও যুগোপযোগী পরিবর্তন আনা হয়েছে। বিভাগের মতে, এ উদ্যোগের মাধ্যমে দেশের টেলিযোগাযোগ খাতে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও নাগরিক অধিকারের সুরক্ষা আরও শক্তিশালী হবে।

অধ্যাদেশের বিষয়ে মতামত পাঠানো যাবে ই-মেইল [email protected] ঠিকানায় অথবা ডাকযোগে
সচিব, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা।

জনগণ ও অংশীজনরা আগামী ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত মতামত দিতে পারবে।

কী আছে অধ্যাদেশে 

খসড়া অনুযায়ী, ইন্টারনেটভিত্তিক সেবা—যেমন ওটিটি প্ল্যাটফর্ম, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, অনলাইন মেসেজিং ও ভিডিও স্ট্রিমিং অ্যাপ—সবই সরকারের অনুমোদনের আওতায় আসবে। এসব সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানকে এখন থেকে বাংলাদেশে নিবন্ধন নিতে হবে এবং প্রয়োজনে নিরাপত্তা সংস্থাকে তথ্য সরবরাহ করতে হবে।

আইন অনুযায়ী, এই খাতে একটি স্বাধীন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ কমিশন গঠন করা হবে, যা লাইসেন্স প্রদান, নীতি নির্ধারণ, স্পেকট্রাম বণ্টন ও প্রযুক্তিগত মান নিয়ন্ত্রণ করবে। কমিশন হবে পাঁচ সদস্যের, যার একজন চেয়ারম্যান ও একজন ভাইস চেয়ারম্যান থাকবেন।

খসড়ায় আরও বলা হয়েছে, অনুমতিহীনভাবে টেলিযোগাযোগ সেবা পরিচালনা বা বিদেশি ওটিটি প্ল্যাটফর্ম পরিচালনা করা হলে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। এছাড়া, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বা জনশৃঙ্খলার স্বার্থে সরকার প্রয়োজনে কোনও প্ল্যাটফর্ম স্থগিত বা বন্ধ করতে পারবে।

১৮৮৫ সালের টেলিগ্রাফ আইন ও ১৯৩৩ সালের ওয়্যারলেস টেলিগ্রাফি আইন বাতিল করে এই নতুন অধ্যাদেশ কার্যকর হবে।

Share This Article