
দুই মাসের ব্যবধানে হোয়াইট হাউসে দ্বিতীয়বারের মতো বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। বৈঠকে গাজা পরিস্থিতিসহ তেল আবিবের ওপর আরোপ করা শুল্ক, ইরান ইস্যু এবং অস্ত্র সহায়তার বিষয়টি গুরুত্ব পাবে বলে জানিয়েছে বেশ কয়েকটি মার্কিন গণমাধ্যম।
গেল ফেব্রুয়ারি মাসে মার্কিন মসনদে বসার পরেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে প্রথম বিদেশি নেতা হিসেবে সাক্ষাৎ করেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। সম্প্রতি অন্যান্য সব দেশের মত ইসরাইলের পণ্যের ওপর ১৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে ট্রাম্প প্রশাসন। এবার প্রথম বিদেশি নেতা হিসেবে শুল্ক ইস্যুতে ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনায় বসতে যাচ্ছেন নেতানিয়াহু।
ইসরাইলি ও হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে শনিবার টাইমস অব ইসরাইল জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু স্থানীয় সময় সোমবার (৭ এপিল) হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হবেন।
দুই নেতার বৈঠকে শুল্ক আলোচনার পাশাপাশি গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়েও আলোচনা হতে পারে বলে জানিয়েছেন কয়েকজন ইসরাইলি কর্মকর্তা। এ বৈঠকে গাজা পরিস্থিতি, ইরান ইস্যু এবং অস্ত্র সরবরাহের বিষয়টি গুরুত্ব পাবে বলে জানান তারা।
নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গাজায় গণহত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মামলা চলমান। যদিও যুক্তরাষ্ট্র আদালতটির সদস্য নয়, তবে যুদ্ধবিরোধীরা আশা করছেন, ট্রাম্প নেতানিয়াহুর ওপর চাপ সৃষ্টি করবেন যুদ্ধ থামানোর জন্য।
এরমধ্যেই গেল একদিনে ইসরাইলের হামলায় গাজায় বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু। স্থানীয় সময় শনিবার তেল আবিব ইসরাইলি কোম্পানি মেকোরোটের পানির সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে, এতে গাজার মোট পানি সরবরাহের ৭০ শতাংশ কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে।
এদিকে গাজার ভেতরে নতুন করে একটি নিরাপত্তা করিডোর তৈরির ঘোষণা দিয়েছে ইসরাইল। দক্ষিণের রাফাহ শহরকে বাকি গাজা থেকে বিচ্ছিন্ন করতে মোরাগ করিডোর স্থাপন করেছে ইসরাইল। ইসরাইলি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত মানচিত্র অনুযায়ী, করিডোরটি গাজার পূর্ব দিক থেকে পশ্চিম পর্যন্ত বিস্তৃত। বিশ্লেষকরা একে ভূখণ্ড দখলের কৌশল হিসেবে দেখছেন।
গাজা সিভিল ডিফেন্স ইসরাইলি বাহিনীর বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ তুলেছে। কারণ সম্প্রতি প্রকাশিত ফুটেজে দেখা যায়, ১৫ জন স্বাস্থ্যকর্মীকে ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যা করা হয়, যার মধ্যে ৮ জন ফিলিস্তিন রেড ক্রিসেন্ট কর্মী ছিলেন। ভিডিওতে দেখা যায়, প্যারামেডিকরা একটি পরিষ্কার সড়কে, রেড ক্রিসেন্টের প্রতীক ও জরুরি আলোসহ, শান্তিপূর্ণভাবে কাজ করছিলেন।