রাজধানীর গুলশানে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস ও তার চারপাশের এলাকায় গত সোমবার (১৩ অক্টোবর) দিবাগত রাত থেকে হঠাৎ করেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা কঠোর করা হয়েছে। এ সময় সেখানে পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট সোয়াট সদস্য এবং গুলশান বিভাগের পুলিশের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।
ঘটনাস্থল থেকে জানা গেছে, রাত ১২টার দিকে গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান নিশ্চিত করেন যে মার্কিন দূতাবাসের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। তবে নিরাপত্তা বাড়ানোর সুনির্দিষ্ট কারণ সম্পর্কে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
সোয়াটের এক কর্মকর্তাও রাতের বেলায় বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, দূতাবাস এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এক প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনায়, মধ্যরাতের দিকে মার্কিন দূতাবাস ও সংলগ্ন এলাকায় পুলিশের একাধিক গাড়ি, যার মধ্যে সোয়াট বাহিনীর গাড়িও ছিল, অবস্থান নেয়।
পুলিশের একটি সূত্র জানায়, ঢাকায় অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসে হামলার পরিকল্পনা করছিল একটি গোষ্ঠী। হামলা করতে পারে এমন তিনজনের পরিচয় এরইমধ্যে নিজস্ব তদন্তের বরাতে দূতাবাস কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে। এই তিনজনের নাম-পরিচয় ঠিকানা ও ছবিসহ তথ্য পেয়েছে দূতাবাস। এই তিনজনই বাংলাদেশি নাগরিক। পরে দূতাবাসের পক্ষ থেকে নিরাপত্তার জন্য ঢাকা মহানগর পুলিশের কাছে একটি চিঠি দেওয়া হয়। এছাড়া এই সন্দেহভাজন তিনজনের নামপরিচয় পুলিশের কাছে তুলে দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৭ এপ্রিল ঢাকার নতুনবাজার এলাকায় মার্কিন দূতাবাসের বিপরীতে এক বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে একই ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। দেশের একটি অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে ওই বিক্ষোভে শিক্ষার্থী ও সাধারণ নাগরিকরা অংশ নিয়েছিল।