

স্পোর্টস ডেস্ক:
লক্ষ্য ছিল মাত্র ১১৮ রানের। জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে তানজিদ হাসান তামিম এবং পারভেজ হোসেন ইমানের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ভর করে আয়ারল্যান্ডকে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। তাও মাত্র ১৩.৪ ওভারে (৩৮ বল হাতে রেখে)।
প্রথম ম্যাচে যেভাবে আয়ারল্যান্ডের কাছে হেরে গিয়েছিল বাংলাদেশ, তাতে সিরিজ নিয়েই শঙ্কা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু পরের দুই ম্যাচ দাপটের সঙ্গে জিতেই বাংলাদেশ সিরিজ জিতে নিলো আইরিশদের ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে।
৩৬ বলে ৫৫ রানে অপরাজিত থাকেন ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। ২৬ বলে ৩৩ রান করে অপরাজিত ছিলেন পারভেজ হোসেন ইমন। আউট হয়েছিলেন সাইফ হাসান ও লিটন দাস।
প্রথম ম্যাচে টস না জিতলেও প্রথমে ব্যাট করার সুযোগ পেয়ে ১৮১ রান করেছিল আইরিশরা। ম্যাচ জিতে নিয়েছিল ৩৯ রানের ব্যবধানে। প্রথম ম্যাচে পরাজয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়ায় টাইগাররা। আয়ারল্যান্ড ১৭০ রান করলেও বাংলাদেশ ম্যাচ জিতে নেয় ৪ উইকেটের ব্যবধানে। শেষ ম্যাচটি হয়ে দাঁড়িয়েছিল সিরিজ নির্ধারনী। কিন্তু এই ম্যাচে আইরিশরা দাঁড়াতেই পারেনি লিটন দাসদের সামনে।
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১৯.৫ ওভারে ১১৭ রানে অলআউট হয় আয়ারল্যান্ড। ২৭ বলে সর্বোচ্চ ৩৮ রান করে আউট হন পল স্টার্লিং, রিশাদ হোসেনের বলে। ১০ বলে ১৭ রান করেছিলেন টিম ট্যাক্টর। উদ্বোধনী জুটিতে ওঠে ৩৮ রান। এই জুটি ভাঙার পরই আইরিশদের প্রতিরোধ থেমে যায়।
তবুও মিডল অর্ডারে জর্জ ডকরেল ২৩ বলে ১৯ রান করে উইকেট আঁকড়ে ধরার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু শরিফুল ইসলামের বলে আউট হয়ে যান তিনি। এছাড়া ১০ রান করেন গ্যারেথ ডেলানি। মোস্তাফিজ এবং রিশাদ হোসেন নেন ৩টি করে উইকেট। এছাড়া ২ উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম, ১টি করে উইকেট নেন মেহেদী হাসান ও মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন নেন ১টি করে উইকেট।
জবাব দিতে নেমে তানজিদ তামিম ও সাইফ হাসান মিলে গড়েন ৩৮ রানের জুটি। ১৪ বলে ১৯ রান করে আউট হন সাইফ হাসান। ৭ রান করেন লিটন দাস। ৪৬ রানে দ্বিতীয় উইকেট পড়ার পর বাকি কাজটুকু অনায়াসে সেরে নেন তানজিদ তামিম ও পারভেজ হোসেন ইমন।
এ জাতীয় আরো খবর