মাসুম বিল্লাহ জাফর, বরগুনা জেলা প্রতিনিধি ::
বরগুনার তালতলীতে বাকপ্রতিবন্ধী এক নারীকে বে-ধড়ক মারধরের খবর পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগী বাক প্রতিবন্ধী (বোবা) ওই নারী উপজেলার বড়বগী ইউনিয়নের পাজরাভাঙ্গা গ্রামের মৃত্যু রুহুল আমিনের স্ত্রী হাওয়া বেগম (৪০)।
সরেজমিন গিয়ে জানা গেছে, আজ থেকে প্রায় ২ বছর আগে হাওয়া বেগমের সাথে একই এলাকার মৃত্যু সেয়ান গাজির ছেলে রুহুল গাজির পরিবারের সাথে মধুর সম্পর্ক ছিলো। বাক প্রতিবন্ধীর সরলতার সুযোগ নিয়ে রুহুল গাজি তার স্বর্ণের হার (গলার চেইন) বন্দক রাখে। পরে সে হার চাইতে গেলে তাকে দেবো বলে ঘুরাতে থাকে। একপর্যায়ে গত ৩০ জানুয়ারি এবিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হলে বাক প্রতিবন্ধী ও-ই নারীকে হুরুন গাজি ও তার স্ত্রী কুলসুম (৩৫) বেধড়ক মারধর করে। এসময়ে স্থানীয়রা তাকে মারধর থেকে উদ্ধার করে তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠালে সেখানকার কর্মরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য আমতলী পাঠায়। তার অবস্থা আশঙ্কা জনক হওয়ায় সেখান থেকে পটুয়াখালী সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসা নিয়ে বাড়ীতে ফিরে সাংবাদিকদের মাধ্যমে প্রশাসনের কাছে বিচারের দাবী করে।
এবিষয়ে ভুক্তভোগী হাওয়া বেগমের ছেলে শাহাদাৎ হোসেন (২২) বলেন, আমার মাকে মারধর করা হয়েছে। আমি এর উপযুক্ত বিচার চাই।
অভিযুক্ত রুহুল গাজি বলেন, আমি তার হার নিয়ে বন্দক রেখেছি তবে তার অন্যএক ভাই, সেও বোবা তার কাছে টাকা পাব। টাকা না দেয়ায় বন্দক রেখেছি। মারামারির বিষয়ে অস্বীকার করে বলেন, সে আমার স্ত্রীকে মারধর করেছে।
তালতলী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মিয়া মোস্তাফিজুর রহমান (মোস্তাক) বলেন, উভয় পক্ষই আমার কাছে ফোন দিয়েছিলো। আমি তাদেরকে আসতে বলেছি।
তালতলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, বাকপ্রতিবন্ধী কে মারধর করা খুবই দুঃখজনক ঘটনা।অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।