
ভোলা সফররত অন্তর্বর্তী সরকারের তিন উপদেষ্টাকে পাঁচ দফা দাবিতে অবরুদ্ধ করে তাদের গাড়ির সামনে শুয়ে বিক্ষোভ করেছেন একদল শিক্ষার্থী। শুক্রবার বিকাল সোয়া ৫টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে তাদের গাড়ি আটকে ২০ মিনিট অবরুদ্ধ করে রাখেন ‘আমরা-ভোলাবাসী’ সংগঠনের সদস্যরা।
অবরুদ্ধ হওয়া উপদেষ্টারা হলেন– বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান এবং বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন।
এ সময় প্রতিবাদী স্লোগানে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে জেলা প্রশাসক কার্যালয় প্রাঙ্গণ। পরে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের হস্তক্ষেপে নিরাপদে স্থান ত্যাগ করেন উপদেষ্টারা।
জানা গেছে, বিকাল ৪টার দিকে ভোলা জেলার অর্থনৈতিক উন্নয়ন সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের তিন উপদেষ্টা উপস্থিত ছিলেন।
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, ভোলায় দীর্ঘদিন ধরে চলা পাঁচ দফা দাবি নিয়ে সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী শেখ মঈন উদ্দীন এবং বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের বৈঠক হয়। বৈঠকে আগামী ডিসেম্বরে ভোলা-বরিশাল সেতু নির্মাণকাজ শুরু করার ঘোষণা দিয়েছিলেন তারা। আজ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির ভোলা-বরিশাল সেতুর নকশার কাজ শুরু না হওয়ার কথা বললে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন আন্দোলনকারীরা।
সভা শেষে উপদেষ্টারা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে বেরিয়ে যেতে চাইলে তাদের গাড়ির সামনে শুয়ে পথরোধ করে বিক্ষোভ করেন আন্দোলনকারীরা।
‘আমরা ভোলাবাসী’র সদস্য মেহেদি হাসান বলেন, ‘সম্প্রতি পাঁচ দফা দাবিতে আমরা ভোলায় বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুললে তারা বলেন, আমরা যেন সরকারের প্রতি সহানুভূতিশীল আচরণ করি। সেই সময় উপদেষ্টা ফাওজুল কবির আমাদের বলেছিলেন, “ঘরে ঘরে গ্যাস সংযোগ দেওয়া সম্ভব নয়।” আমরা তার কথায় রাজি হয়ে বাকি দাবিগুলো পূরণের জন্য বলেছিলাম।
‘উপদেষ্টা আরও বলেছিলেন, “ডিসেম্বর নাগাদ ভোলা-বরিশাল সেতুর ভিত্তিপ্রস্তরের কাজ শুরু হবে।” অথচ তিনি (উপদেষ্টা) আজ বললেন, এখনও নাকি নকশার কাজই শুরু হয়নি, নীতিগত সিদ্ধান্তে আটকে আছে। তারা ভোলায় আসছেন ব্যবসায়িক চিন্তাভাবনা নিয়ে।’
এ সময় জ্বালানি এবং বাণিজ্য উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবি করেন ‘আমরা ভোলাবাসী’ নেতারা। পাঁচ দফা দাবি না মানা পর্যন্ত ভোলার বাইরে গ্যাস সরবরাহ করতে দেবেন না বলেও হুঁশিয়ারি দেন আন্দোলনকারীরা।