চট্টগ্রামে বাঁশখালীতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। বড় ধরনের সংঘাতের আশঙ্কায় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বুধবার (১৫ অক্টোবর ) বিকাল ৪টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত উপজেলার কাথরিয়া বাজারে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা মুখোমুখি অবস্থানে ছিল। স্থানীয় যুবদল কর্মী মোরশেদুল ইসলামের ওপর হামলার জের ধরে বিএনপি ও জামায়াতের সংঘর্ষ ঘটে বলে জানান স্থানীয়রা। এই ঘটনায় দুই দলের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে বলে জানা যায়।
স্থানীয়রা জানান, জামায়াতের নেতাকর্মীরা কাথরিয়া বাজারের পশ্চিম দিকে এবং বিএনপি নেতা-কর্মীরা বাজারের পূর্ব দিকে অবস্থান নিয়ে পালটাপালতি স্লোগান দেন। এ সময় পুলিশের একটি টিম দুই দলের মাঝখানে ব্যারিকেড দিয়ে অবস্থান নেন। রাতের দিকে সিনিয়র নেতাদের হস্তক্ষেপে তারা সরে গেলেও এখনো এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এর আগে বিকাল ৪টার দিকে যুবদল কর্মী মোরশেদুল ইসলাম ফেসবুকে পোস্ট দেন যে, জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা তার ওপর হামলা চালিয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে এই পোস্টের পরে বিএনপি নেতাকর্মীরা দ্রুত কাথরিয়া বাজারে এসে জড়ো হয়।
অন্যদিকে জামায়াতের নেতাকর্মীরাও কাথরিয়া বাজারে জড়ো হতে থাকেন। অবস্থা বেগতিক দেখে বাজারের ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ করে দেন। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
ঘটনার বিষয়ে বাঁশখালী উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মো. রাসেল চৌধুরী জানান, জামায়াতের কয়েকজন নেতা তাদের ফেসবুকে বিএনপি নেতাদের নিয়ে বিভিন্ন কটূক্তিমূলক পোস্ট প্রচার করে। যুবদল নেতা মোরশেদ প্রতিবাদ করায় তারা তাকে আটক করে মারধর করার কারণেই মূলত বিএনপি নেতাকর্মীরা রাস্তায় নেমে আসে।
কাথরিয়া জামায়াতের আমির মাস্টার নুরুল কবির যুবদলের নেতা মোরশেদকে আটক ও মারধরের ঘটনা সত্য নয় বলে দাবি করেন। তিনি অভিযোগ করেন, বিএনপি নেতাকর্মীরা সম্পূর্ণ বিনা উসকানিতে জামায়াত নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে নানারকম স্লোগান দেয়।
বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এতে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে বাঁশখালী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। যেন কোন ধরনের সংঘাত যেন না হয় সে ব্যাপারে পুলিশ সজাগ ছিল। সবাইকে শান্ত থাকতে এবং আইন নিজের হাতে তুলে না নিতে আহ্বান জানান ওসি।