ত্রিভুজ প্রেমের জেরে জোবায়েদ হত্যা, পরিকল্পনা এক মাস আগে

বাংলাদেশ চিত্র ডেস্ক

ত্রিভুজ প্রেমের জেরে হত্যা করা হয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জোবায়েদ হোসেনকে। খুনের পরিকল্পনা হয় এক মাস আগে।

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) রাজধানীর মিন্টো রোডে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সংস্থার অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম।

এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা হলেন মাহির রহমান (১৯), বার্জিস শাবনাম বর্ষা (১৮) ও ফারদীন আহম্মেদ আয়লান (২০)।

অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার নজরুল বলেন, পড়াতে গিয়ে বর্ষার সঙ্গে জোবায়েদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তবে বর্ষার সঙ্গে আগে থেকেই মাহিরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এটা মূলত ত্রিভুজ প্রেমের গল্প। মাহিরকে বর্ষা বলেন যে জোবায়েদকে না সরালে তিনি মাহিরের হতে পারবেন না। এরপর জোবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। গ্রেফতার দুই আসামি মাহির ও বর্ষাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এসব তথ্য জেনেছে পুলিশ।

ডিএমপির এ কর্মকর্তা আরও জানান, পরিকল্পনা অনুযায়ী হত্যাকাণ্ডের দিন বিকেল ৪টায় জোবায়েদ পড়াতে আসবেন- এ তথ্য মাহিরকে জানান বর্ষা। এমন তথ্য জানার পর মাহির তার বন্ধু আয়লানকে নিয়ে আগে থেকেই বাসার নিচের গলিতে অবস্থান নেন। জোবায়েদ বাসার নিচে এসে পৌঁছালে তাদের সঙ্গে কথাকাটাকাটি হয়। এসময় মাহির বর্ষাকে ছেড়ে দিতে বললে জোবায়েদ অস্বীকৃতি জানান। একপর্যায়ে মাহির জোবায়েদের গলায় চাকু দিয়ে আঘাত করলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তিনি মারা যান।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বাসার নিচে ছুরি দিয়ে আঘাতের পর জোবায়েদ বাঁচার জন্য সিঁড়ি দিয়ে ওপরে ওঠে আসে। বেশ কয়েকটি বাসার দরজায় তিনি নক করেন, কিন্তু কেউ খোলেননি। তৃতীয় তলায় এসে তিনি বর্ষার কাছে বাঁচার আকুতি জানান। তবে বর্ষা তাকে সাহায্য করেননি।

মাহিরের মা ছেলেকে থানায় দিয়েছেন- এমন তথ্য ঠিক কি না জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার নজরুল বলেন, আসামি গ্রেফতারের কৌশল হিসেবে তারা মাহিরের পরিবারকে চাপ দেন। পরিবার নিজে থেকেই তাকে হস্তান্তর করেছে বিষয়টি এরকম নয়। এটি পুলিশের কৌশলের অংশ।

Share This Article