দিনাজপুরে হাস্কিং মিলের পণ্যে সংশ্লিষ্টদের মতবিনিময়

স্টাফ রিপোর্টার

দিনাজপুরে ইকো-সোশ্যাল ডেভলপমেন্টে অর্গানাইজেশনের (ইএসডিও) সাসটেইনেবল এন্টারপ্রাইজ প্রজেক্টের (এসইপি) আওতাভুক্ত হাস্কিং মিলের পণ্যের প্রশংসা পত্রের জন্য সংশ্লিষ্টদের সাথে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দিনাজপুর সদর উপজেলা পরিষদ হলরুমে ইএসডিও-এসইপি ফুল গ্রেইন চাল প্রকল্পের সংশ্লিষ্টদের এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইমদাদ সরকার।

দিনাজপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রমিজ আলমের সভাপতিত্বে এতে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দিনাজপুর মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কৃষিবিদ মানিক চন্দ্র রায়, জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা মো. মুসফিকুর রহমান, জেলা সিনিয়র কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মো. হুমায়ন কবির, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (কারিগরী) মো. ফিরোজ আহমেদ মোস্তফা, দিনাজপুর সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বিপ্লব কুমার সিংহ রায়সহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ।

সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইএসডিও-এসইপি-এফজিআরএম প্রকল্পের ফোকাল পার্সন (এপিসি, ইএসডিও ঠাকুরগাঁও) মো. খাতিবর রহমান। এতে প্রেজেন্টশনের মাধ্যমে প্রকল্পের অগ্রগতি উপস্থাপন করেন ইএসডিও-এসইপি দিনাজপুর’র এন্টারপ্রাইজ ডেভেলপমেন্ট অফিসার এম এ কাহার বকুল।

মতবিনিময় সভায় বক্তারা সকলকে নিরাপদ খাদ্য খাওয়ার জন্য এবং নিরাপদে চলার জন্য অনুরোধ করে বলেন, অটোরাইস মিল সমূহ মোটা চালকে ছাটাই, পলিস করার মাধ্যমে চালের পুষ্টিগুন নষ্ট করে মিনিকেট চাল নামে চালের বর্জ্য বিক্রয় করছে। যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এবং রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করে চালকে পলিস করার মাধ্যমে মানব শরীরে রোগ ব্যাধি সৃষ্টি হচ্ছে। অটোরাইস মিলের চাল চকচকে হওয়ায় সাধারণ মানুষ তা কিনতে আগ্রহী হচ্ছে। কিন্তু হাস্কিং মিলের চাল চকচকে না হওয়ায় সাধারণ মানুষ তা কিনছে না অথচ হাস্কিং মিলের চাল স্বাস্থ্য সম্মত। হাস্কিং মিল গুলোতে যদি ইকো বান্ধব ও পরিবেশ সম্মত উপায়ে ফুল গ্রেইন চাল উৎপাদন করা যায় তাহলে এই ফুল গ্রেইন চালের প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়বে এবং মানুষ এই চাল ক্রয় করে খেতে আগ্রহী হবে।

Share This Article