
তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, ‘জুলাই যোদ্ধা ও গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীরা মিডিয়া ইকোসিস্টেমে যুক্ত হলে এর গুণগত পরিবর্তন আসবে। দেশের স্বার্থেই এ বিষয়ে তাদের এগিয়ে আসা প্রয়োজন। গণমাধ্যমের ইতিবাচক পরিবর্তনের জন্য জুলাই যোদ্ধাদের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে হবে।’
বুধবার (৫ নভেম্বর) রাজধানীর দারুস-সালামে জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটে ‘জুলাই যোদ্ধাদের জন্য অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা প্রশিক্ষণের সমাপনী ও সনদপত্র বিতরণ’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘এখনও বেশিরভাগ গণমাধ্যমে আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগীরা বসে আছেন। তাদের হয়তো খালি চোখে দেখা যাচ্ছে না। এর দ্বিতীয় বা তৃতীয় সারির সব কর্মীই মোটামুটি আওয়ামী লীগের অনুসারী। তারা বিভিন্নভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে।’
তিনি জানান, জুলাই যোদ্ধাদের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি), জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট এবং চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট (বিসিটিআই) জুলাই যোদ্ধা ও গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে কমপক্ষে ৩০০ জন জুলাই যোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যকে সাংবাদিকতা ও ফিল্ম বিষয়ে প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হবে।
পরবর্তী নির্বাচিত সরকারও নৈতিক দায় থেকে জুলাই যোদ্ধাদের প্রশিক্ষণের ধারাবাহিকতা বজায় রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
জুলাই যোদ্ধাদের উদ্দেশে মাহফুজ আলম বলেন, “আপনারা চেতনা, মননে ও প্রেরণায় ‘জুলাই যোদ্ধা’। কর্মক্ষেত্রে ‘জুলাই যোদ্ধা’ পরিচয় আপনাদের সৃজনশীল কাজের চেয়ে যেন বেশি গুরুত্ব না পায়, সে দিকটায় লক্ষ্য রাখতে হবে। পেশাগত জায়গায় সততা ও দেশপ্রেমের পরিচয় হবে।”