মাজহারুল ইসলাম বাদল, বিশেষ প্রতিনিধি ::
নরসিংদী রায়পুরায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নৌকার মনোনীত দুই নারীর বিজয় লায়লা কানিজ লাকি ও মোছা. মাহফুজা আক্তার
নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা পরিষদ ও মির্জারচর ইউনিয়ন পরিষদের উপনির্বাচনে নৌকার প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন
সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আজহারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
সোমবা বিকেলে উপজেলা পরিষদ উপনির্বাচনে চার স্বতন্ত্র প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। এর আগে গতকাল রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) মির্জারচর ইউনিয়ন পরিষদের উপনির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন অন্য কোনো প্রার্থী না থাকায় সন্ধ্যায় মাহফুজাকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা আজহারুল ইসলাম।
জানা যায়, গত বছরের ৩ ডিসেম্বর সন্ত্রাসীদের গুলিতে মির্জারচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাফর ইকবাল মানিক নিহত হন। ১৩ ডিসেম্বর ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস ছাদেক। পরে দুটি শূন্য পদে গত ১৬ মার্চ উপনির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা।
পরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থী মনোনয়ন চাইলেও মনোনয়ন পান লায়লা কানিজ লাকি। আর ইউনিয়ন পরিষদ পর্যায়ে জাফর ইকবাল মানিকের স্ত্রী মাহফুজা আক্তার একক প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পান। পরে রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে মাহফুজা আক্তারের বিপক্ষে কোনো প্রার্থী না থাকায় উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তাকে বিজয়ী ঘোষণা করেন।
অন্যদিকে উপজেলা পরিষদ উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনীত লায়লা কানিজ লাকিসহ মোট ০৬ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। পরে শাহ আলম নামে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হলে নৌকার প্রার্থীসহ মোট ০৫ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। পরবর্তীতে সোমবার মোট ০৪ স্বতন্ত্র প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন। ফলে নৌকার প্রার্থী লায়লা কানিজ লাকিকে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আজহারুল ইসলাম বলেন, উপজেলা পরিষদ উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী লায়লা কানিজ লাকি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হতে পারেন। তবে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে শুনতে পাচ্ছি স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহ আলম বাদ পড়েছিলেন। তিনি নাকি হাইকোর্টে গেছেন। যদি তা সত্য হয় তাহলে লাকি বিজয়ী নন। এছাড়া মোছা. মাহফুজা আক্তার মির্জারচর ইউনিয়ন পরিষদ উপনির্বাচনে একক প্রার্থী ছিলেন। অন্য কোনো প্রার্থী না থাকায় রোববার প্রার্থিতা প্রত্যাহারের দিন তাকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে