নাটোরের নলডাঙ্গায় এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীনিকে ইভটিজিং এর অভিযোগে ইউপি সদস্য আমজাদ হোসেন মন্টুর বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। শনিবার রাতে নির্যাতিত পরীক্ষার্থীর চাচা এস এম মোতাব্বের বাদী হয়ে নলডাঙ্গা থানায় যৌন নিপীড়নের অভিযোগ এনে মামলাটি দায়ের করেন। অভিযুক্ত আমজাদ হোসেন মন্টু (৪০) উপজেলার দুর্লভপুর গ্রামের মৃত রহিম সরদারের ছেলে। তিনি খাজুরা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য এবং খাজুরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক । মামলা ও নির্যাতিতা পরীক্ষার্থীনির পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ নিতে উপজেলা সদরে আসার জন্য ভুক্তভুগি পরীক্ষার্থীনি সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে স্থানীয় বীরকুৎসা বাজারে অটোরিক্সার জন্য দাঁড়িয়ে ছিল। অভিযুক্ত ইউপি সদস্য মন্টু এসময় জরুরী কাজের কথা বলে কৌশলে তাকে পাশের নিজের ব্যক্তিগত কার্যালয়ে নিয়ে গিয়ে যৌন নিপীড়ন করে। এসময় মন্টু জোর করে পরীক্ষার্থীনির মুখের মাক্স খুলে চুমু খায় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে হাত দিয়ে যৌন নিপীড়ন করেন। পরে মেয়েটি মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফিরে ঘটনাটি পরিবারে সদস্যদেরকে জানায়। পরিবারের সদস্যদের পক্ষ থেকে নির্যাতিত পরীক্ষার্থীনির চাচা এস এম মোতাব্বের বাদী হয়ে শনিবার রাতে আমজাদ হোসেন মন্টুকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর থেকে আত্মগোপনে থাকায় এ বিষয়ে তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছেন, পুলিশ অভিযুক্ত মন্টু মেম্বারকে গ্রেফতারের চেষ্টা করছে।