নাটোর জেলা আ’লীগ অফিসে স্মার্ট কর্ণার উদ্বোধন: হয়েছে দু-গ্রুপের সংঘর্ষ


গোলাম রাব্বানী, নাটোর প্রতিনিধি প্রকাশের সময় : মে ২, ২০২৩, ১০:২৪ অপরাহ্ণ /
নাটোর জেলা আ’লীগ অফিসে স্মার্ট কর্ণার উদ্বোধন: হয়েছে দু-গ্রুপের সংঘর্ষ
নাটোর জেলা আ’লীগ অফিসে স্মার্ট কর্ণার উদ্বোধন: হয়েছে দু-গ্রুপের সংঘর্ষ

নাটোরে জেলা আওয়ামী লীগের অস্থায়ী কার্যালয়ে স্মার্ট কর্ণার উদ্বোধন করা হয়েছে। উদ্বোধন শেষ হতে না হতেই সেখানে শুরু হয় দু গ্রুপের মাঝে সংঘর্ষ। সংঘর্ষের ঘটনায় তিনজন আহত হয়েছে বলে জানা যায়।

মঙ্গলবার (২রা মে) দুপুরে জেলা আওয়ামী লীগের অস্থায়ী কার্যালয়ে ‘স্মার্ট কর্ণার’ উদ্ধোধন ও আগামী দ্বাদশ নির্বাচনকে সামনে রেখে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে নেতাকর্মীদের সঙ্গে নির্বাচন কেন্দ্রিক মতবিনিময় সভায় যোগদেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বর্তমান সরকারের সাবেক মন্ত্রী পরিষদ সচিব ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা কবির বিন আনোয়ার। এসময় জেলার বিভিন্ন আসনের সংসদ সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌর মেয়র এবং এসব ইউনিটের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধন শেষে আলোচনা সভার শুরুতেই স্লোগান দেওয়া কে কেন্দ্র করে শুরু হয় (শিমুল-রমজান) সমর্থকদের বাকবিতন্ডা। এক পর্যায়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফরহাদ বিন আজিজ ও জেলা সৈনিক লীগ সভাপতি আমিরুল ইসলাম জনি’র মধ্যে শুরু হয় হাতাহাতি। তারা দুজন নাটোর আওয়ামী লীগের দুই বলয়ের অনুসারী বলে জানা যায়। উভয়পক্ষের কর্মী ও সমর্থকদের মধ্য দফায় দফায় চলে চেয়ার ছোড়াছুড়ি ও লাঠিসোটা নিয়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। এসময় প্রধান অতিথি সাবেক মন্ত্রী পরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ার ও স্থানীয় সাংসদ শফিকুল ইসলাম শিমুল দু-পক্ষের মধ্যেকার সংঘর্ষ থামানোর চেষ্টা করেন। এসময় কবির বিন আনোয়ারকে জেলা সৈনিকলীগের সভাপতি আমিরুল ইসলাম জনিকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিতেও দেখা যায়। আর এমপি শিমুলকে দেখা যায় তার অনুসারীদের উপর চড়াও হয়ে তাদের থামানোর চেষ্টা করতে।

সদর আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল এমপি ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম রমজানের সমর্থক ও নেতাকর্মীদের মধ্য এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলে আলোচনা সভার শুরুতেই বক্তব্য দেন সাবেক মন্ত্রী পরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ার। তিনি বলেন, আজকের এই ঘটনার সুত্রপাত যারা করেছে তাদের পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ড দেখা হবে। এবং এরা কাদের হাত ধরে দলে এসেছে সেগুলোরও রিপোর্ট তৈরি করা হবে।

এ বিষয়ে নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান জানান, জামায়াত বিএনপির লোকজন স্থানীয় সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলেরর সাথে ওঠাবসা করছে। তারাই আজকে আওয়ামীলীগ পরিবারের নের্তৃবৃন্দদেরকে চেয়ার থেকে তুলে দিয়ে চেয়ারছোড়াছুড়ি করেছে। পরে তারা আওয়ামী লীগের পার্টি অফিসে লাঠিসোটা নিয়ে আওয়ামীয়লীগ নের্তৃবৃন্দ ও কর্মী সমর্থকদের উপর পরিকল্পিতভাবে হামলা চালায়।

তবে এসব অভিযোগ মিথ্যা, ভিত্তিহীন দাবি করে সদর আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল বলেছেন, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ফরহাদ বিন আজিজ জেলা সৈনিক লীগের সভাপতি আমিরুল ইসলাম জনিকে থাপ্পড় মারায় এই বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বলেন, নিজে উদ্যোগী হয়ে এই সংঘর্ষ থামানোর চেষ্টা করেছি। দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা তার সাথেই আছে।

নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহমেদ বলেন, অনুষ্ঠানে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।