আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট বিনিয়োগ ও ব্যবসাবান্ধব এবং কর্মসংস্থানমুখী পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন বিশিষ্ট ণারী উদ্যোক্তা ও সম্প্রতি বিশ্ব অর্থনৈতিক শীর্ষ সম্মেলনে প্রিয়দর্শিনী এ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত আরআর লাইফ স্টাইলের সত্ত্বাধিকারী ব্যারিস্টার বেনজির আলম অনন। তিনি বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে গুরত্বপূর্ণ অবদান রাখে শিল্প- বাণিজ্য। সে কারণে বাজেট শিল্প ও ব্যবসাবান্ধব করতে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ রাখতে হবে। বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে অর্থ বরাদ্দ জরুরী। প্রত্যাশিত শিল্পোন্নয়নের মধ্য দিয়ে কর্মসংস্থান বাড়বে।
আগামী অর্থবছরের বাজেট কেমন চাই? এমন প্রশ্নর উত্তরে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, দেশের প্রতিটি অঞ্চলে বিশেষ করে শিল্পে অনগ্রসর গ্যাসখ্যাত কুমিল্লার মুরাদনগরে শিল্পায়নের জন্য অর্থনৈতিক ও শিল্প অঞ্চল গঠনের মাধ্যমে সমার্থক পলিসি সহায়তার বিষয়টি বাজেটে সন্নিবেশিত থাকতে হবে। বাজেটে কৃষি উৎপাদন বাড়াতে হলে কৃষি উপকরণে ভর্তুকির ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি পরিস্থিতি মোকাবেলায় থোক বরাদ্দের পাশাপাশি এ খাতকে অধিকতর গুরুত্ব দিতে হবে।
ব্যবসায়ী নেত্রী ব্যারিস্টার বেনজির আলম অনন বলেন, নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে বন্ধ কারখানা চালু এবং নতুন কারখানা স্থাপনে স্বল্প সুদে ঋণ প্রদানের সুযোগ রাখতে হবে। গ্রামীণ অর্থনৈতিক উন্নয়ন, খাদ্য নিরাপত্তা, পল্লী উন্নয়ন, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন বৃদ্ধির ব্যবস্থা রাখতে হবে। রেমিটেন্স বৃদ্ধির স্বার্থে শ্রমবাজার সম্প্রসারণের ব্যাপারে সময়োপযোগী পদক্ষেপ নিতে হবে।
এ ছাড়া পুঁজি বাজার শক্তিশালীকরণ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, শিক্ষা ব্যবস্থা কর্মমুখী করতে অর্থ বরাদ্দসহ প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা থাকতে হবে এ বাজেটে। বেনজির অনন বলেছেন, বেকার সমস্যা সমাধানে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। এ বাজেটে অবকাঠামো যোগাযোগ ব্যবস্থাকে গুরুত্ব দিতে হবে। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না থাকার। কারণে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে না। যারা জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী তারা যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না হওয়ার কারনে বিনিয়োগ করতে পারছে না। যেসব জায়গায় গ্যাস কয়লাখনী পাওয়া গেছে সেগুলো থেকে উত্তোলনের ব্যবস্থা করতে হবে।
কেবল পর্যাপ্ত গ্যাস থাকলেই বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব। সম্প্রতি সরকার অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে মুরাদনগরকে চিহ্নিত করেছে। আগামী বাজেটে এই অর্থনৈতিক অঞ্চল বাস্তবায়ন করতে হবে।
স্থানীয় ক্ষুদ্র ব্যবসার সমস্যা তুলে ধরে বেনজির অনন বলেন, স্থানীয় ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশ মানছে না। এসএমই ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে তারা শতভাগ জামানত চায়। অথচ এসএমই খাতে ১৫ লাখ টাকা জামানত ছাড়াই দেয়ার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশ রয়েছে। এছাড়া ব্যাংকগুলো নিজেদের মতো করে ঋণ দেয়। যারা ঋণ পাওয়ার যোগ্য তারা পাচ্ছেন না। আর যারা ব্যাংকারদের বিশেষ সুবিধা দিতে পারেন তাদেরই ঋণ দেয়া হচ্ছে।