
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচনি প্রচারণার ক্ষেত্রে সাতটি নির্দেশনা মানতে হবে। এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা ২০২৫-এ প্রচারণার ক্ষেত্রে জনসভা, পথসভা ও সমাবেশের জন্য সাতটি বিধান যুক্ত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বুধবার (২৯ অক্টোবর) এ তথ্য জানিয়েছে নির্বাচন আয়োজনকারী সংস্থাটি।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, নির্বাচনি পরিবেশকে সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ এবং আইনসম্মত রাখার জন্য এমন বিধান যুক্ত করা হয়েছে আচরণ বিধিমালায়। এতে প্রচারণার আগাম পরিকল্পনা জানার কারণে একদিকে যেমন প্রার্থীদের সমান সুযোগ পাওয়া নিশ্চিত করা যাবে, তেমনই জনগণের চলাচল ও আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা সম্ভব হবে।
ওই সাত নির্দেশনা হলো–
১. সমান অধিকার: নির্বাচনকালীন প্রচারণায় সব প্রার্থী সমান অধিকার লাভ করবেন। তবে তারা একে অপরকে বাধা দিতে বা ভয়ভীতি সৃষ্টি করতে পারবেন না।
২. প্রচার পরিকল্পনা: নির্বাচন প্রচারণা শুরুর আগে, রাজনৈতিক দল বা প্রার্থীকে কর্তৃপক্ষের কাছে পরিকল্পনা জমা দিতে হবে এবং কর্তৃপক্ষ সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।
৩. লিখিত অনুমতি: জনসভা বা সমাবেশের আয়োজন করতে হলে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ থেকে অনুমতি নিতে হবে এবং স্থানীয় নির্বাচন কমিশনে জমা দিতে হবে।
৪. পুলিশ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা: জনসভা বা পথসভা আয়োজনের ২৪ ঘণ্টা আগে স্থান ও সময় সম্পর্কে পুলিশকে অবহিত করতে হবে, যাতে তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ব্যবস্থা নিতে পারে।
৫. চলাচলে বিঘ্ন: জনসভা বা সমাবেশ এমন জায়গায় করা যাবে না যেখানে জনগণের চলাচলে বিঘ্ন ঘটে, যেমন সড়ক বা মহাসড়ক।
৬. গোলযোগের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: যদি কোনও ব্যক্তি বা দল জনসভায় গোলযোগ সৃষ্টি করে, তবে আয়োজকদের পুলিশকে জানাতে হবে এবং পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।
৭. বিদেশে প্রচারণা নিষিদ্ধ: কোনও রাজনৈতিক দল বা প্রার্থী বিদেশে জনসভা বা প্রচারণা চালাতে পারবে না।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ নির্বাচনের প্রস্তিুতি সম্পর্কে বলেন, যদি শতকরা হিসেবে বলেন, তাহলে ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ প্রস্তুতি শেষ। দল ও পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন শেষ হলে প্রস্তুতি শতভাগ হবে। আমরা রোডম্যাপ (কর্ম পরিকল্পনা) থেকে সামান্য পিছিয়ে আছি, তবে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। বাকি সময়ের মধ্যেই সবকিছু কাভার করা সম্ভব হবে।