
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাঠে পুলিশ, আনসার, বিজিবি, কোস্টগার্ডের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর এক লাখ সদস্য মোতায়েন থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে এক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ মন্তব্য করেন। এক প্রশ্নের উত্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অস্ত্র উদ্ধারে পুলিশের সফলতা অনেক। ইতিমধ্যে অনেক অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। কিছু অস্ত্র বাইরে রয়ে গেছে। নির্বাচনের আগে আরও অস্ত্র উদ্ধার হয়ে যাবে।
জনগণ নির্বাচনমুখী হয়ে গেলে কেউ আটকাতে পারবে না বলে মন্তব্য করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, আগামী নির্বাচনে সেনা, নৌ, বিমানবাহিনী থাকবে। এখন ৩০ হাজার মাঠে আছে। সেনাবাহিনীর সংখ্যা ওই সময় এক লাখ হবে। সঙ্গে পুলিশ, আনসার, বিজিবি, কোস্টগার্ড ও প্রশাসনের লোকজন থাকবেন। নির্বাচন নির্ভর করে জনগণের ওপর। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতৈক্য হয়ে গেলে নির্বাচন হতে সুবিধা। এরপর নির্বাচনী কর্মকর্তা, প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সুষ্ঠু–সুন্দর নির্বাচন হবে।
শান্তিপূর্ণ দুর্গাপূজার আশা জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘এবারের দূর্গাপূজা শান্তিপূর্ণ এবং উৎসবমুখর হবে বলে আমরা আশা করছি। কোনো জায়গায় বড় ধরনের কোনো সমস্যা নেই। দুর্গাপূজা একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান, এ জন্য এর পবিত্রতা রক্ষা করা জরুরি। আমি অন্যান্য ধর্মের মানুষদেরও অনুরোধ করছি, তারা যেন সহযোগিতা করেন, যাতে পূজার আয়োজন শান্তিপূর্ণভাবে হয় এবং ধর্মীয় পবিত্রতা রক্ষা পায়।’
মিয়ানমার সীমান্ত পরিস্থিতি ও মাদক প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘মিয়ানমারের সেনারা এখন সীমান্ত এলাকায় নেই, পুরোটা আরাকান আর্মি দখল করে নিয়েছে। তবে আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখছে। আরাকান আর্মি মাদকের ওপর নির্ভরশীল। সীমান্ত দিয়ে প্রচুর মাদক আসে। এর পরিবর্তে আমাদের দেশ থেকে চাল, শাক, ওষুধপত্র ও অন্যান্য জিনিস যায়। আমরা আলোচনা করছি, যাতে এগুলো আর না যায় এবং মাদকও ঢুকতে না পারে। মাদক আমাদের সমাজকে ধ্বংস করছে। এ জন্য আমরা ফোর্স বাড়িয়েছি, মাদক সমস্যা কমে আসবে।’
রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘রোহিঙ্গা নিয়ে বাংলাদেশ কোনো হুমকির মুখে নেই। আমাদের লক্ষ্য যত দ্রুত সম্ভব তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো। যত তাড়াতাড়ি তাদের ফেরত পাঠানো যাবে, তত দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে।’