নির্বাচনকে বানচাল করতে সরকার বিরোধীরা ঝটিকা মিছিল, ককটেল বিস্ফোরণ ও নাশকতার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে জানিয়েছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি) অতিরিক্ত আইজিপি একেএম শহিদুল রহমান।
র্যাব ডিজি বলেন, এসব ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় র্যাব ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীতে কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা জানান।
র্যাব ডিজি আরও বলেন, পুলিশের লুট হওয়া প্রায় ১ হাজার ৩৫৭টি অস্ত্র এখনও উদ্ধার হয়নি। তবে এরই মধ্যে ৭০-৮০ শতাংশ উদ্ধার হয়েছে। গত মাসেও তিনটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়। তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আশা করছি, বাকি অস্ত্রগুলোও উদ্ধার করতে সক্ষম হবো।
এসব অস্ত্র বাইরে থাকাটা নিরাপত্তা ঝুঁকি উল্লেখ করে তিনি বলেন, লুট হওয়া অস্ত্র বিভিন্ন শ্রেনীর অপরাধীর কাছে থাকতে পারে। এসব অস্ত্র যতদিন বাইরে থাকবে, ততদিন বিষয়টি আমাদের জন্য একটি চ্যালেঞ্জিং বিষয়। আমরা আশাকরি জাতীয় নির্বাচনের আগে এসব অস্ত্র উদ্ধার করা সম্ভব হবে।
পাহাড়ে সাম্প্রতিক অশান্তির বিষয়ে র্যাব ডিজি বলেন, খাগড়াছড়িতে ধর্ষণের অভিযোগকে কেন্দ্র করে অশান্ত পরিস্থিতি তৈরি করা হয়। যদিও দ্রুত আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়, তারপরও পরিস্থিতিকে বড় আকার দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। এর পেছনে ইন্ধন আছে কি না, তা তদন্ত করা হচ্ছে। বিদেশি কোনো অপশক্তির সংশ্লিষ্টতা আছে কি না, সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
র্যাব ডিজি বলেন, আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে র্যাবের বিশেষ প্রস্তুতি চলছে। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, মাদকবিরোধী অভিযান এবং ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তার অব্যাহত আছে। পাশাপাশি নির্বাচনকালীন দায়িত্ব পালনে র্যাব সদস্যদেরও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
নির্বাচনকালীন চ্যালেঞ্জ প্রসঙ্গে র্যাব ডিজি বলেন, প্রতিদিনই আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ থাকে। অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে আমরা নিরলস চেষ্টা চালাচ্ছি। গাজীপুরে র্যাব সদস্যদের আটকে রাখার ঘটনায় মামলা এবং আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ধরনের ঘটনা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে প্রভাবিত করবে না। আমরা আশাবাদী, যেকোনো পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হবে।