বিল্লাল হোসাইন , জামালপুর:
জামালপুরে জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরীর নামে স্থাপিত সড়কের নামফলক ভাংচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনাকে সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন পরবর্তী রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলে দাবি করছেন সাবেক ওই চেয়ারম্যান। নামফলক ভাংচুরের ঘটনায় ইতোমধ্যে জেলাজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ মে) বেলা ১২ টার দিকে শহরের মির্জা আজম চত্বর থেকে শেখের ভিটাগামী আলহাজ্ব ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরী সড়কে এই ঘটনা ঘটে।
ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরী জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমানে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি পদে রয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, বেলা ১২টার দিকে শহরের পাথালিয়া এলাকার রাসেল ও রশিদপুর এলাকার সুমনসহ ৪জন এসে প্রথমে নামফলকের কিছু অংশ খুলে ফেলেন। পরে সেটি তারা ভাংচুর করেন ও কয়েকবার পদদলিত করেন। এরপর তারা অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে স্থান ত্যাগ করেন।
জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের একজন জ্যেষ্ঠ রাজনীতিবিদের নামফলক ভাংচুরের ঘটনায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে জেলা জুড়ে। স্থানীয় সুধীমহলের অনেকেই মনে করছেন এই ঘটনাকে জেলার রাজনীতি নতুন মেরুকরণের দিকে ধাবিত করার অপচেষ্টা করা হচ্ছে।
জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরী বলেন, জামালপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একটি পক্ষ রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় এই কাজটি করেছেন। তারা শান্ত জামালপুরকে অশান্ত করার চেষ্টা করছেন। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।
জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ মোবাইল ফোনে বলেন, ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরী এ জেলার একজন জ্যেষ্ঠ রাজনীতিবিদ। তাঁর নামফলক ভাংচুরের ঘটনা খুবই নিন্দনীয় একটি কাজ। যারা এই ঘটনার সাথে জড়িত তাদের যদি দলীয় কোনো পদ থাকে তাহলে তদন্ত করে দল প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এছাড়াও জেলা আওয়ামী লীগ এ ঘটনার সাথে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছে।
এসব বিষয়ে জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহব্বত কবির বলেন, শোনার সাথে সাথে আমি ঘটনাস্থলে যাই। বিষয়টি তদন্ত করছি। আমরা এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। এই বিষয়ে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।