নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে আনসার বাহিনী অগ্রণী ভূমিকা রাখবে: সিইসি

বাংলাদেশ চিত্র ডেস্ক

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা ও নির্বাচনকালীন সার্বিক শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে আনসার-ভিডিপি সদস্যদের প্রশিক্ষণ শেষ হয়েছে।

আনসার-ভিডিপি সদস্যদের প্রস্তুতি ও দক্ষতা প্রদর্শনের জন্য সোমবার (৩ নভেম্বর) রাজধানীর ভাটারায় আনসার গার্ড ব্যাটালিয়ন মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে ভোটকেন্দ্র নিরাপত্তা মহড়া ও ২০২৫-২৬ অর্থবছরের চতুর্থ ধাপের আনসার কোম্পানি ও প্লাটুন সদস্যদের মৌলিক প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠান।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ।

প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ. এম. এম. নাসির উদ্দিন।

তিনি বলেন,“জাতীয় নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে আনসার অগ্রণী ভূমিকা রাখবে।”

সিইসি আরও বলেন, “বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি দেশের সর্ববৃহৎ প্রশিক্ষিত বাহিনী। যেকোনও দুর্যোগ ও রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এই বাহিনীর সদস্যরা তাদের দায়িত্বের প্রতি অটল থেকে দেশকে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।”

 

তিনি আরও বলেন, “আগামী প্রজন্মের জন্য কেমন বাংলাদেশ রেখে যাব—এই অঙ্গীকার থেকেই প্রতিটি দায়িত্ব সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করতে হবে।”

ডিজিটাল বিভ্রান্তি প্রতিরোধে আনসারের ভূমিকার ওপর গুরুত্বারোপ করে সিইসি বলেন, “ভুয়া তথ্য ও প্রোপাগান্ডা রোধে তৃণমূলে আনসার-ভিডিপি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এবার প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ সদস্য মাঠে থাকবেন, যারা জনগণকে সচেতন করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবেন।”

সারা দেশে ছয় লাখ আনসার সদস্য দায়িত্বে

এবারের নির্বাচনে সারাদেশে প্রায় ৬ লাখ আনসার ও ভিডিপি সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। পাশাপাশি প্রতিটি জেলায় আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্যরা জরুরি প্রতিক্রিয়া টিম হিসেবে প্রস্তুত থাকবেন।

মহড়ায় ঢাকার চারটি জোনের ৩২০ জন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সদস্য অংশ নেন। প্রদর্শনীতে ভোটকেন্দ্র নিরাপত্তা, জাল ভোট প্রতিরোধ, প্রিজাইডিং অফিসার সুরক্ষা, এবং সম্ভাব্য অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে দ্রুত প্রতিক্রিয়া প্রদর্শন করা হয়।

নির্বাচনে যোগ্য ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সদস্যই দায়িত্ব পাবেন উল্লেখ করে সমাপনী বক্তব্যে আনসারের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহমুদ বলেন, “বাহিনীর প্রশিক্ষণব্যবস্থা দেশের মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী সদস্যদের দক্ষ, সচেতন ও দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে তৈরি করে।”

তিনি বলেন, “নির্বাচনে ১৮–২৫ বছর বয়সী প্রশিক্ষিত তরুণদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। সদস্যদের বাছাইয়ে গোয়েন্দা যাচাই ও চরিত্র মূল্যায়ন করা হবে। সফটওয়্যায়ে তথ্য সংরক্ষণ থাকবে এবং তাৎক্ষণিক সমন্বয় ব্যবস্থা করা হবে।”

মহাপরিচালক আরও বলেন, “নির্বাচনকালীন শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষা, ভোটকেন্দ্রে স্বচ্ছ পরিবেশ বজায় রাখা এবং জনগণের আস্থা ধরে রাখতে আনসার বাহিনী সর্বোচ্চ প্রস্তুত।”

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আনসার ও ভিডিপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, প্রশিক্ষক ও সদস্যরা।

Share This Article