নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালীতে আওয়ামী লীগ ও জামায়াতের দ্বন্দ্বে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়সহ সাধারণ মানুষ চরম অস্থিরতার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের লড়াইয়ে হামলা, ভাঙচুর ও নির্যাতনের ঘটনায় এলাকায় ভীতি ছড়িয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় স্থানীয়রা শান্তিপূর্ণ পরিবেশের প্রত্যাশা করলেও বাস্তবে পাচ্ছেন না নিরাপত্তা।
গত বছর আওয়ামীলীগ ক্ষমতাচ্ছুত হওয়ার পরেও জামায়েত ও আওয়ামী লীগের অত্যাচার কমে নি। তারা ক্রমাগত হুমকি দিয়েছে হেনস্থা করতেছে প্রতিপক্ষ সহ যারা হিন্দু সম্প্রদায়কে।
তাছাড়াও কিছু দিন আগেও নোয়াখালীর বিভিন্ন উপজেলায় যেমন বেগমগঞ্জের চৌমুহনী, সেনবাগ, সোনাইমুড়ী বজরা এলাকায় কিছু সংখ্যালঘুর ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের কয়েকজন জানান, রাজনৈতিক সংঘাতের কারণে তারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। অনেকের জমি-সম্পত্তির ওপর দখলদারিত্বের চেষ্টা চলছে। কখনো ভাঙচুর, কখনো হুমকি-ধামকির কারণে পরিবারগুলো আতঙ্কে আছে।
এক ভুক্তভোগী বলেন, আমরা শান্তিতে বাঁচতে চাই। কিন্তু বারবার রাজনৈতিক সন্ত্রাসের শিকার হচ্ছি। সন্তানদের নিরাপত্তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।
সাধারণ মানুষও নিরাপদ নন। তারা কাজ করতে ভয় পাচ্ছেন, ব্যবসায়ীরা দোকানপাট ঠিকমতো খুলতে পারছেন না। এক দোকানদার অভিযোগ করেন, দিনভর অস্থিরতা, হরতাল-অবরোধ আর দাঙ্গার ভয়ে ব্যবসা বন্ধ রাখতে হয়। এতে আমাদের সংসার চালানো কষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, প্রশাসন নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করছে না। রাজনৈতিক চাপের কারণে অনেক সময় সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া হয় না। এতে ভুক্তভোগীরা আইনের আশ্রয় নিতে দ্বিধায় থাকেন।
আওয়ামী লীগের এক স্থানীয় নেতা জানান, জামায়াত-শিবির এলাকাজুড়ে নাশকতা সৃষ্টি করছে। অন্যদিকে জামায়াতের এক কর্মী অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ তাদের ওপর দমননীতি চালাচ্ছে। এই পারস্পরিক অভিযোগ-প্রত্যাঘাতের কারণে সাধারণ মানুষই পড়ছে বিপাকে।
অবস্থার উন্নতির জন্য স্থানীয়রা প্রশাসনের কঠোর ও নিরপেক্ষ ভূমিকার আহ্বান জানিয়েছেন। তারা মনে করছেন, রাজনৈতিক দলগুলো যদি সাধারণ মানুষের স্বার্থকে প্রাধান্য দেয়, তবে এ অস্থিরতা কমানো সম্ভব হবে।