চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব ঠেকানোর অংশ হিসেবে পানামা খালের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় মরিয়া যুক্তরাষ্ট্র। এজন্য সেখানে সেনা সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। যুক্তরাষ্ট্রের এমন উদ্যোগের কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়ে চীন বলছে, বিশ্বাসঘাতকতা করছে যুক্তরাষ্ট্র।
পানামার সংবিধানে খালের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা হলেও মার্কিন সামরিক পরিকল্পনা নিয়ে উদ্বিগ্ন দেশটির সরকার। পানামা বলছে, সার্বভৌমত্বের ওপর কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ মেনে নেয়া হবে না।
যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপের কড়া সমালোচনা করেছে চীনও। পানামায় মার্কিন হস্তক্ষেপের মাধ্যমে চীনা সহায়তা প্রকল্পগুলো বন্ধের চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ বেইজিংয়ের।
পানামা খালের বন্দরগুলোর মালিকানা পরিবর্তনের বিষয়টিও আলোচনায় রয়েছে। দুটি গুরুত্বপূর্ণ বন্দর কিনে নিতে প্রস্তাব দিয়েছে মার্কিন বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ব্ল্যাকরক। এজন্য ২২ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার খরচ করতে রাজি প্রতিষ্ঠানটি। এই পদক্ষেপকে বিশ্বাসঘাতকতা হিসেবে অভিহিত করেছে চীন।
মার্কিন প্রশাসনের সামরিক পরিকল্পনার জেরে পানামা ও চীনের সঙ্গে কূটনৈতিক টানাপোড়েন আরও তীব্র হতে যাচ্ছে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের।
গত জানুয়ারিতে দ্বিতীয়বারের মতো হোয়াইট হাউসের ক্ষমতায় ফিরে ট্রাম্প হুমকি দিয়েছেন, পানামা খালের নিয়ন্ত্রণ যুক্তরাষ্ট্র নেবে। ট্রাম্পের দাবি, খালটি এখন বেইজিং দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে।
আটলান্টিক ও প্রশান্ত মহাসাগরের মাঝে সংযোগকারী পানামা খাল বিশ্ব বাণিজ্যে মালামাল পরিবহনের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কয়েক দশক ধরে খালটি ও এর প্রশাসনিক অঞ্চল নির্মাণ করে যুক্তরাষ্ট্র। ১৯১৪ সালে পানামা খালের নির্মাণকাজ শেষ হলেও দুই দেশের যৌথ প্রশাসন দীর্ঘদিন ধরে সেটি পরিচালনা করে। পরবর্তীতে ১৯৯৯ সালে এই খালের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ পায় মধ্য আমেরিকার দেশ পানামা।