জুলাই যোদ্ধাদের তালিকা নিয়ে বিভিন্ন অভিযোগ ও অসঙ্গতির কারণে রংপুর বিভাগের ৫৩ জন ‘জুলাই যোদ্ধার’ গেজেট বাতিল করেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (গেজেট) হরিদাস ঠাকুর স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। ৫৩ জন জুলাই যোদ্ধাদের মধ্যে পীরগাছার রয়েছেন আটজন।
তারা হলেন- উপজেলা ছাওলা ইউনিয়নের জ্ঞানগঞ্জ বাজার (নারায়ণপুর) গ্রামের মো. হেলাল উদ্দিনের ছেলে মো. কামরুল হাসান (১১৯৩), মো. আব্দুল জলিলের ছেলে মো. মোতাহার হোসেন (১১৯৫), ওসমান গনির ছেলে মো. মজনু মিয়া (১১৫৭) ও একই ইউনিয়নের কিশামত ছাওলা গ্রামের মো. হযরত আলীর ছেলে মো. আশাদুজ্জামান (১১৯৪), আদম বড়াইপাড়া গ্রামের মো. কছিম উদ্দিনের ছেলে মো. আব্দুল হাকিম (১১৯৬)।
এছাড়াও ইটাকুমারী ইউনিয়নের কামদেব গ্রামের মো. সাখাওয়াত হোসেনের ছেলে মো. আনারুল ইসলাম (১১৯৭), কান্দি ইউনিয়নের দাদন গ্রামের মো. বাদল মিয়ার ছেলে মো. ওমর ফারুক (১০৭৬) এবং পীরগাছা ইউনিয়নের অনন্তরাম (মাছুয়াপাড়া) গ্রামের মো. আজিম উদ্দিনের ছেলে মো. আব্দুর রাজ্জাক (১২০০)।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার ও জুলাই যোদ্ধাদের কল্যাণ ও পুনর্বাসন অধ্যাদেশ, ২০২৫ (অধ্যাদেশ নম্বর ৩০, ২০২৫)-এর ১১ (৪) ধারা এবং Rules of Business 1996 Gi Schedule-1 (Allocation of Business) এর ক্রমিক নম্বর ২৩ এ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে জুলাই গণঅভ্যুত্থান ২০২৪-এ ‘জুলাই যোদ্ধা’ গেজেট থেকে এই ৫৩ জনের গেজেট সরকার কর্তৃক বাতিল করা হলো। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
বর্তমানে শহীদের সংখ্যা ৮৩৬ জন। তবে, এবারই প্রথম ‘জুলাই যোদ্ধার’ গেজেট বাতিল করার মতো পদক্ষেপ নিচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়। সরকারি তালিকায় ‘অতি গুরুত্বর আহত’ (ক), ‘গুরুত্বর আহত’ (খ) ও ‘আহত’ (গ) এই তিন শ্রেণিতে এখন পর্যন্ত মোট আহত বা জুলাই যোদ্ধা ১৩ হাজার ৮০০ জন।