জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সফর সঙ্গি হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়ার আগে বিমান বন্দরে ভিভিআইপি লাউঞ্জে অপেক্ষা করতে দেখা গেল ৫ রাজনীতিবিদকে।
প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক পেইজে এ সংক্রান্ত একটি ছবি পোস্ট করা হয়েছে।
রবিবার মধ্যরাতে ফ্লাইটের আগে প্রতিনিধি দলের সদস্যদের হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিভিআইপি লাউঞ্জে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। ঢাকা থেকে রাত ১টা ৪০ মিনিটে তাদের ফ্লাইটটি ছেড়ে যাবে।
নিউইয়র্কে তারা জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি একটি শীর্ষ ব্যবসায়িক সম্মেলনেও যোগ দেবেন যেটার হোস্ট করবে বিডা, বিষয়টি এক ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছেন প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
ড. ইউনূসের সফরসঙ্গীরা হলেন হলেন- বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ে পাঠানো বার্তায় জানানো হয়েছে, রবিবার দিবাগত রাতে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে প্রধান উপদেষ্টা ও সফরসঙ্গীদের নিয়ে নিউইয়র্কগামী ফ্লাইটটি ঢাকা ছেড়ে যাবে। তার জন্য বিমানবন্দরের ভিভিআইপি লাউঞ্জে রাজনীতিবিদরা অপেক্ষা করছেন। তারা প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী হিসেবে নিউইয়র্কে যাচ্ছেন।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে পৌঁছাবেন প্রধান উপদেষ্টা। আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভাষণ দেবেন তিনি। তারপর আগামী ২ অক্টোবর দেশে ফিরবেন তারা।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের এই অধিবেশনে গুরুত্ব পাবে রোহিঙ্গা সংকট ও আসন্ন জাতীয় নির্বাচনসহ বেশ কিছু উপস্থাপনা।
এই অধিবেশনে বিগত এক বছরে দেশে সংঘটিত সংস্কার এবং আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে একটি সত্যিকারের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার বিশ্ব নেতাদের সামনে তুলে ধরবেন ড. ইউনূস।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্যমতে, এ বছরের অধিবেশন বাংলাদেশের জন্য খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, ৩০ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সভাপতির সভাপতিত্বে ‘হাই লেভেল কনফারেন্স অন দ্য সিচুয়েশন অব রোহিঙ্গা মুসলিমস অ্যান্ড আদার মাইনোরিটিস ইন মিয়ানমার’ শীর্ষক একটি উচ্চপর্যায়ের সভা হবে। রোহিঙ্গা সংকটকে কেন্দ্র করে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে এমন একটি উচ্চ পর্যায়ের সভার আয়োজন এবারই প্রথম।
এই উচ্চপর্যায়ের সভা থেকে যেন রোহিঙ্গা সংকটের দ্রুত সমাধানের একটি কার্যকর পরিকল্পনা উঠে আসে, সেজন্য আন্তর্জাতিক অংশীদার ও রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের নিয়ে গত মাসে কক্সবাজারে একটি অংশীদার সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এছাড়া, প্রধান উপদেষ্টা ২৫ সেপ্টেম্বর যুবকদের জন্য কর্মপরিকল্পনার ৩০তম বার্ষিকী উপলক্ষে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকেও অংশ নেবেন। বাংলাদেশ শান্তি ও নিরাপত্তা, উন্নয়ন এবং মানবাধিকার আলোচনায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এবং শান্তিরক্ষী রাষ্ট্র হিসেবে দেশের অবদান তুলে ধরবে।
সফরকালে তিনি জাতিসংঘ মহাসচিব ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠান এবং বিভিন্ন দেশের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অংশ নেবেন।