
প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন বৌদ্ধ ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের একটি প্রতিনিধিদল।
রবিবার (৫ অক্টোবর) প্রধান উপদেষ্টার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বৌদ্ধ ধর্মীয় নেতারা প্রবারণা পূর্ণিমার মাহাত্ম্য বর্ণনা করে প্রধান উপদেষ্টাকে তার শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। তারা তাকে বিহার পরিদর্শনের আমন্ত্রণও জানান।
এছাড়া, রাজধানীর উত্তরায় বৌদ্ধদের শেষকৃত্য সম্পন্ন করার জন্য জায়গা বরাদ্দ করার জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানান বৌদ্ধ নেতৃবৃন্দ। তারা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে বিষয়টি জানানোর মাত্র ১০ দিনের মধ্যে শ্মশানের জন্য এই স্থান বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, যা একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। এর আগে ঢাকায় কোনো বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী মারা গেলে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে চট্টগ্রাম পর্যন্ত যেতে হতো। এখন এ সমস্যার সমাধান হয়েছে।
বৈঠকে এ বছর কঠিন চীবর দান উদযাপনের প্রস্তুতির বিষয়টিও প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করা হয়। পাশাপাশি সার্বক্ষণিক সহযোগিতার জন্য ধর্ম মন্ত্রণালয় ও পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয়ের প্রতি বিশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান বৌদ্ধ নেতারা।
তীর্থযাত্রার জন্য সরকারি ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা এবং বৌদ্ধ পণ্ডিত ও দার্শনিক অতীশ দীপঙ্করের নামে সরকারিভাবে একটি জ্ঞানচর্চা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন দাবি প্রধান উপদেষ্টার কাছে উপস্থাপন করেন তারা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহারের অধ্যক্ষ বুদ্ধপ্রিয় মহাথের, বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ভিক্ষু সুনন্দপ্রিয়, পার্বত্য ভিক্ষু সংঘের ভিক্ষু কল্যাণ জ্যোতি, বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান ভবেশ চাকমা, বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতির ঢাকা অঞ্চলের সাধারণ সম্পাদক স্বপন বড়ুয়া চৌধুরী, বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব জয় দত্ত বড়ুয়া প্রমুখ।
এছাড়া বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টিবৃন্দের পক্ষ থেকে প্রফেসর ড. সুকোমল বড়ুয়া, মং হলা চিং, সুশীল চন্দ্র বড়ুয়া, অধ্যাপক ববি বড়ুয়া, রুবেল বড়ুয়া ও রাজীব কান্তি বড়ুয়া উপস্থিত ছিলেন। ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমাও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।