প্রস্তাবিত বৈষম্যবিরোধী আইনে জন-ভোগান্তি বাড়তে পারে

বাংলাদেশ চিত্র ডেস্ক

অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান প্রস্তাবিত বৈষম্যবিরোধী আইনে জনসাধারণ ভোগান্তির শিকার হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন।

শনিবার (৮ নভেম্বর) রাজধানীর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘কার্যকর বৈষম্যবিরোধী আইন প্রবর্তন’ শীর্ষক এক নাগরিক সংলাপে তিনি এ কথা বলেন।

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, প্রস্তাবিত বৈষম্যবিরোধী আইনের সংজ্ঞাই বৈষম্যমূলক। বৈষম্যবিরোধী আইনের প্রস্তাবনায় বৈষম্যের যে সংজ্ঞা দেয়া হয়েছে তা সমর্থনযোগ্য নয়, বরং এখানেও বৈষম্য করা হয়েছে।

তিনি বলেন, সবাইকে যদি মানুষ হিসেবে চিহ্নিত করতে না পারা যায়, তবে এই আইনের সঠিক মূল্যায়ন সম্ভব নয়। তার মতে, আইনটির প্রস্তাবিত কাঠামো সঠিকভাবে মানুষকে মানুষ হিসেবে চিহ্নিত করতে ব্যর্থ হয়েছে।

অ্যাটর্নি জেনারেল সতর্ক করে বলেন, প্রস্তাবিত আইনটি বর্তমান রূপে কার্যকর হলে পদে পদে জনসাধারণকে ভোগান্তির শিকার হতে হবে এবং দীর্ঘসূত্রতার কারণে এর উদ্দেশ্য ব্যাহত হবে।

তিনি বলেন, আইনে যদি জরিমানা বা শাস্তির ব্যবস্থা না থাকে, তাহলে এর প্রয়োগ সঠিকভাবে করা সম্ভব হবে নয়।

মো. আসাদুজ্জামান বলেন, সংবিধানেও কিছু অংশে বৈষম্যের বিষয় উঠে এসেছে, যা অনুচিত। সর্বজনীন অধিকার হিসেবে মানবাধিকারকে সমুন্নত না রেখে সেখানে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান হিসেবে বিভক্ত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, রাজনৈতিক দর্শনের মাধ্যমেও বৈষম্য করা হচ্ছে। আমাদের এই দুষ্ট ক্ষতকে চিহ্নিত করে সঠিক ওষুধ প্রয়োগ করতে হবে।

সাম্প্রতিক সময়ে ‘২৪ না ৭১’ বিতর্ক প্রসঙ্গে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, এ ধরনের বিতর্ক ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে যারা প্রাণ দিয়েছেন, তাদের অসম্মান করা হবে। একইসঙ্গে ২০২৪ সালে যারা প্রাণ দিয়েছেন, তাদেরও ছোট করা হবে।

বৈষম্যমূলক ধারণা রোধ করতে না পারলে রাজনীতিবিদদের ভোট দেব না-জনসাধারণের মধ্যে এই সচেতনতা আসা জরুরি বলেও মত দেন মো. আসাদুজ্জামান।

Share This Article