আন্তর্জাতিক রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য বাংলাদেশের সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি ও নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে একটি প্রাক-নির্বাচন মূল্যায়ন প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০ থেকে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত আইআরআই মিশন বাংলাদেশে বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে। এর মধ্যে নির্বাচন কমিশন, রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজ ও অন্তর্বর্তী সরকারের কর্মকর্তাসহ মোট ৫৯ জন স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে ২১টি বৈঠক হয়।
আইআরআই জানায়, নির্বাচন কমিশন অংশগ্রহণ ও প্রস্তুতি বাড়াতে বেশ কিছু সংস্কার কার্যক্রম নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে প্রবাসী ভোটারদের জন্য ভোটদান ব্যবস্থা চালু এবং নির্বাচনী নিরাপত্তা জোরদারে সশস্ত্র বাহিনীর সমন্বয়। তবে সংগঠনটি উল্লেখ করেছে, নির্বাচন-পূর্ব পরিবেশ এখনও ভঙ্গুর। রাজনৈতিক সহিংসতা সীমিত হলেও তা তাৎপর্যপূর্ণ। এছাড়া স্থানীয় প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন ও নিরাপত্তা বাহিনীর প্রতি জনগণের অবিশ্বাস এখনো রয়ে গেছে।
প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়, যুব নেতৃত্বাধীন দলগুলোর উত্থান এবং প্রবাসী ভোটারদের অংশগ্রহণ দেশের রাজনীতিতে নতুন গতিশীলতা ও গণতান্ত্রিক পুনর্নবীকরণের সম্ভাবনা তৈরি করছে। তবে প্রার্থী মনোনয়নে স্বচ্ছতার অভাব, নারীদের সীমিত প্রতিনিধিত্ব এবং কট্টরপন্থী গোষ্ঠীর প্রভাব রাজনৈতিক সহনশীলতার জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে।
আইআরআইর মতে, আসন্ন নির্বাচনের সাফল্য নির্ভর করবে অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষতা রক্ষা, নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং ঘোষিত নির্বাচনী সংস্কার বাস্তবায়নের ওপর। সংলাপের ধারাবাহিকতা, স্বচ্ছ নির্বাচন প্রশাসন ও রাজনৈতিক দলের বিশ্বাসযোগ্য অংশগ্রহণ একটি শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে অপরিহার্য।
আইআরআই তাদের মূল্যায়নকে নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ বলে উল্লেখ করেছে। নির্বাচনের আগে ও পরে একটি শান্তিপূর্ণ, স্বচ্ছ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রক্রিয়া নিশ্চিতে কয়েকটি ব্যবহারিক সুপারিশ প্রদান করেছে।
