সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক নিয়মিত তাদের মনিটাইজেশন সিস্টেম আপডেট করে চলেছে। এবার নতুন করে ফেসবুক স্টোরির মাধ্যমে অর্থ উপার্জনের সুযোগ চালু করা হয়েছে। যারা ফেসবুকের কন্টেন্ট মনিটাইজেশন প্রোগ্রামে অন্তর্ভুক্ত, তারা পাবলিক স্টোরির ভিউ থেকে আয় করতে পারবেন। এটি কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য নতুন আয়ের দরজা খুলে দিয়েছে।

তবে শুধুমাত্র স্টোরি পোস্ট করলেই আয় নিশ্চিত নয়। আয় নির্ভর করবে স্টোরির ভিউ, এনগেজমেন্ট এবং বিজ্ঞাপনের ধরন অনুযায়ী। বিশেষ করে উন্নত দেশ থেকে বেশি ভিউ পেলে সিপিএম রেটও বাড়ে। পাশাপাশি ফেসবুকের নির্দিষ্ট শর্তগুলো মেনে চলাও আবশ্যক।

আয়ের জন্য প্রয়োজনীয় শর্তসমূহ:

• ফেসবুকের পার্টনার মনিটাইজেশন পলিসি অনুসরণ করতে হবে।
• স্টোরি অবশ্যই পাবলিক হতে হবে।
• ফেসবুকের মনিটাইজেশন যোগ্য দেশগুলোর মধ্যে থাকতে হবে।
• মনিটাইজেশন প্রোগ্রামে যোগদানের নিয়ম:
• প্রোফাইল বা পেজকে প্রফেশনাল মোডে রূপান্তর করতে হবে।
• নির্দিষ্ট ভিউ এবং এনগেজমেন্ট নিশ্চিত করতে হবে, যা ফেসবুক সময় সময়ে নির্ধারণ করে।

আয়ের ধরন:

• ফেসবুক স্টোরিতে ইন-স্টোরি অ্যাড বা অ্যাড ব্রেকস যুক্ত করা যায়।
• স্পন্সরশিপ ও ব্র্যান্ড ডিল থেকেও আয় সম্ভব।

মনিটাইজেশন করার ধাপে ধাপে গাইড:

১. ফেসবুক ক্রিয়েটর স্টুডিও বা মেটা বিজনেস সুইটে মনিটাইজেশন এলিজিবিলিটি চেক করুন।
২. স্টোরি পাবলিক করুন, কারণ প্রাইভেট বা ফ্রেন্ডস অনলি স্টোরি মনিটাইজেশন হয় না।
৩. আকর্ষণীয় এবং অরিজিনাল কন্টেন্ট তৈরি করুন, যেমন ভিডিও বা ব্র্যান্ড প্রোমোশন।
৪. ইন-স্টোরি অ্যাডস চালু করুন।
৫. মেটা বিজনেস সুইটে পেমেন্ট সেটআপ করুন এবং আয়ের রিপোর্ট মনিটর করুন। ন্যূনতম ১০০ ডলার হলে টাকা তুলতে পারবেন।

আয় বাড়ানোর জন্য কিছু টিপস:

• প্রতিদিন অন্তত ৩ থেকে ৫টি স্টোরি নিয়মিত পোস্ট করুন।
• ভিডিও স্টোরি বেশি এনগেজমেন্ট দেয়, তাই বেশি ভিডিও পোস্ট করুন।
• ট্রেন্ডিং টপিক কভার করুন।
• পোল, কুইজ ও স্টিকারসহ ইন্টারেক্টিভ ফিচার ব্যবহার করুন।
• বিভিন্ন গ্রুপে কন্টেন্ট শেয়ার ও প্রচার করুন, এতে ভিউ বাড়বে।