ফ্যাক্টরি বন্ধ হলেও বেড়েছে রফতানি

বাংলাদেশ চিত্র ডেস্ক

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, গার্মেন্টসের রফতানি কি কমেছে, ফ্যাক্টরি বন্ধ হলেও রফতানি বেড়েছে। তিনি বলেন, ‘আজকেও একটা পত্রিকায় দেখলাম যে, ৫১টি ফ্যাক্টরি বন্ধ হয়েছে। এখন ফ্যাক্টরি বন্ধ হবে, খুলবে— এটা একটা ন্যাচারাল প্রসেস।’

রবিবার (২৬ জানুয়ারি) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। 

শফিকুল আলম বলেন, ‘সরকার দেখে যে, বাংলাদেশের রফতানি বাড়ছে কিনা।  বাংলাদেশের এক্সপোর্ট সেপ্টেম্বরের বেড়েছে ৭ শতাংশ, অক্টোবরে ১৬ বা ১৮ শতাংশ,  নভেম্বরে প্রায় ২২ শতাংশ এবং ডিসেম্বরে ১৮ শতাংশের মতো বেড়েছে।  আমাদের প্রবৃদ্ধি তো সে রকমই। বেশিরভাগই ফ্যাক্টরি যেগুলো ঝামেলা হচ্ছে, তাদের মালিকরা পালিয়ে গেছেন। পালিয়ে গিয়ে তাদের পুরো বার্ডেন আমাদের ওপরে দিয়ে গেছেন। পুরো ব্যাংকগুলো থেকে চুরি করে যা যা ছিল সব নিয়ে পালিয়ে গেছেন। শ্রমিকদের বেতন না দিয়ে তারা মজা দেখছেন অনেক।’

প্রেস সচিব বলেন, ‘এক্সপোর্ট বাড়া মানে হচ্ছে জব তৈরি হওয়া। সামগ্রিকভাবে আমাদের রফতানি বাড়ছে। একসময় বাংলাদেশে চার হাজার ফ্যাক্টরি ছিল, এসব ফ্যাক্টরি মিলে ২০ বিলিয়ন রফতানি করতো। কারণ, তাদের রফতানি ছিল ছোট ছোট। এখন একেকটা ফ্যাক্টরি বিশাল, বড় দানব হয়ে যাচ্ছে। ১৯৯১ সালে বাংলাদেশ রফতানি করতো এক বিলিয়ন ডলার, এখন হামিম গ্রুপ একাই এক বিলিয়ন ডলারের রফতানি করে। আমরা এক্সপোর্টের ফিগারের ব্যাপারে এক বিন্দু কোনও ম্যানুপুলেট করছি না। শেখ হাসিনার আমলে বছরের পর বছর ম্যানুপুলেশন হয়েছে। ভাঙচুর করছে কারা? দুই- তিনটা ফ্যাক্টরি মিলে ভাঙচুর হচ্ছে। বাংলাদেশের সামগ্রিক রফতানিতে এদের কন্ট্রিবিউশন একদমই কিছু না।’

 

Share This Article