বঞ্চিত কর্মকর্তাদের পদমর্যাদা দেওয়া হবে: জনপ্রশাসন সচিব

বাংলাদেশ চিত্র ডেস্ক

আওয়ামী লীগ আমলে অবসরে যাওয়া বঞ্চিত ৭৬৪ জনকেই তাদের মান-মর্যাদা দেওয়া হবে। ঠিক পদোন্নতি নয়। তাদের একটা পদ-পদবি দিয়ে জিও জারি করা হতো। সেই জিওর ভিত্তিতে হওয়া ফিন্যান্সিয়াল জিও’র ভিত্তিতে তারা টাকা পাবে। সরকার এ বিষয়ে নীতিগতভাবে একমত, কিছুটা সময় লাগবে। আমরা ১৬ বছর বঞ্চিত ছিলাম ১৬ দিনে তো এটা হয়নি।

রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে মহার্ঘভাতা ও বঞ্চনা নিরসন কমিটির প্রতিবেদন নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোখলেস উর রহমান এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বঞ্চিত কর্মকর্তাদের পদোন্নতি হবে না, পদমর্যাদা দেওয়া হবে। তাকে ওই পদে পদমর্যাদা দিয়ে জিও জারি করা হবে, আর এই হিসাবটা করবে এজি অফিস। তাদের সায়েন্টিফিক নিয়ম আছে। এরপর হবে ফিন্যান্সিয়াল জিও।

সর্বশেষ যে বেনিফিট হবে, তিনি শেষ কোনও সিলিংয়ে গেলেন, ওইদিন থেকে ওই তারিখ থেকে তার পেনশন বেনিফিটটাও ওইভাবে হবে। মূল বেনিফিটটা তার পেনশনে হবে সারা জীবন।

তিনি বলেন, আমরা গত ৫৩ বছরের মধ্যে এমন একটা সমস্যার মুখোমুখি হয়েছি। সরকার আন্তরিক এবং পজেটিভ।

আওয়ামী লীগ আমলে অবসরে যাওয়া বঞ্চিত ৭৬৪ জন কর্মকর্তাকে কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী পদমর্যাদা এবং আর্থিক সুবিধা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও জানান জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোখলেস উর রহমান।

উল্লেখ্য, গত ১০ ডিসেম্বর পদোন্নতিবঞ্চিত অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের আবেদন পর্যালোচনা কমিটি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন পেশ করে। কমিটির প্রধান ও সাবেক অর্থসচিব জাকির আহমেদ খান কমিটির অন্য সদস্যদের উপস্থিতিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় প্রয়োজনীয় সুপারিশসহ প্রতিবেদন পেশ করেন।

কমিটি সচিব পদে ১১৯ জন, গ্রেড-১ (সচিব মর্যাদা) পদে ৪১ জন, অতিরিক্ত সচিব পদে ৫২৮ জন, যুগ্মসচিব পদে ৭২ জন এবং উপসচিব পদে চারজন কর্মকর্তাকে ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি দেওয়া যেতে পারে বলে সুপারিশে উল্লেখ করে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বলেন, আমি নিজেও বঞ্চিত কর্মকর্তাদের নিরসন কমিটির একজন আবেদনকারী। আমাকে চুক্তিতে নিয়োগ দিয়েছে, এছাড়া আমি তো ওই কাতারেই। যখন ফাইনালি জিও হবে সেখানে আমার নামও থাকবে।

তিনি বলেন, ঊর্ধ্বতন অফিস (প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়) থেকে যখন আমাদের কাছে এটা (সুপারিশ প্রতিবেদন) পাঠিয়ে নির্দেশনা দেবে, একটা নির্দেশনা লাগবে, তবে সরকার পজিটিভ। আমি বলতে পারি আমাদের লেভেলে একদিনে ওখানে যাবে। আমরা সেটা করবো।

মোখলেস উর রহমান বলেন, সুপারিশ প্রতিবেদনটি তো সিলগালা, আমাদের কাছে আসতে হবে। চাকরির কিছু বিধি-বিধান আছে, সেগুলো আমাদের মানতে হবে। সেগুলোর বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। এটা সিস্টেম, এটা আমলাতন্ত্র তারপরও যাতে হ্যাসেল না হয়। আমি আবারও বলছি, একদিনের মধ্যে আমাদের মন্ত্রণালয় সুপারিশ বাস্তবায়ন করে দেবে।

জনপ্রশাসন সচিব বলেন, কমিটি বিস্তারিত প্রতিবেদন দিয়েছে। যারা পেয়েছে, কী কারণে পেয়েছে, যারা পায়নি কী কেন পায়নি- তা উল্লেখ রয়েছে।

Share This Article