বরিশালে হঠাৎ স্থানীয় বাজার গুলোতে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি বিপাকে ক্রেতারা

জামাল কাড়াল, বরিশাল ব্যুরো প্রধান ::

জামাল কাড়াল, বরিশাল ব্যুরো প্রধান ::

বরিশালে একদিকে সবজির বাজার অন্যদিকে গ্যাস সিলিন্ডারের দাম বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতাদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। হঠাত করে  নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য ও পন্যের দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন নিন্ম ও মধ্যবিত্তরা।
জীবনযাত্রায় ব্যয় বাড়লেও আয় না বাড়ায় অসহায়ত্ব প্রকাশ করেন তারা। ক্রমাগত বাজারে সব পণ্যের ঊর্ধ্বমুখীতে দামে হাঁসফাঁস অবস্থায় পড়েছেন তারা।  
গতকাল শুক্রবার বরিশাল নগরীর বাজারগুলো গিয়ে দেখা যায়, গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগি ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা বিক্রি হলেও এখন প্রতিকেজি বেড়ে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ডিমের  দাম আবার বেড়েছে। লাল ফার্মের মুরগির হালি বিক্রি হচ্ছে ৪৪ টাকা গত সপ্তাহে ছিল ৩২ টাকা। আর ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৩২ টাকায়।
সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সিম প্রতিকেজি ৫০-৬০ টাকা, শসা ৪০ থেকে ১০ টাকা বেড়ে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা মরিচের কেজি ১২০-১৩০ টাকা যা গত সপ্তাহে কেজি ছিল ৮০ থেকে ১০০ টাকা।এছাড়া করোলা ৮০ টাকা, আলু ৩০ টাকা, টমেটো ৫০ টাকা, মূলা ৩০ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা, ঝিঙ্গা ৬০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, গাজর ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।চাল কুমড়া প্রতিটি ৫০-৬০ টাকা, লাউ প্রতিটি আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০-৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০, পটল ৬০, ঢেঁড়স ৬০, কচুর লতি ৭০-৮০, পেঁপে ৩০-৪০, বরবটি ৮০-১০০ ও ধুন্দুল ৬০-৭০ টাকা কেজি, লাউ ৫০ থেকে ৮০ টাকা, বাঁধাকপি ৪০ টাকা, ফুলকপি ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে নতুন পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, রসুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৫০ টাকা,দেশি আদা ১২০-১৫০ টাকা, আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা, খোলা চিনি প্রতি কেজি ১১৫ থেকে ১২০ টাকা,খোলা আটার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা, প্যাকেট আটার কেজি ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, ইন্ডিয়ান মসুরের ডালের কেজি ১২০-১২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে মাছের বাজারে দেখা গেছে, আগের মতই রয়েছে কেজি প্রতি মাছের দাম। পোর্ট রোড বাজারের সবজি বিক্রেতা বলেন, ‘আসলে আমাদের কিছু করার নেই। আমাদের বেশি দামেই ক্রয় করতে হয়।’
বটতলা বাজারের এক ডিম ক্রেতা বলেন, ‘গত সপ্তাহে যে ডিম ৩২ টাকায় কিনেছি সেই ডিম আজকে ৪৪ টাকা হালি কিনতে হচ্ছে। আমার মনে হচ্ছে, আবার নতুন করে সিন্ডিকেট তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে।’
বাজার রোড এলাকার ক্রেতা নুরুল আমিন  বলেন, শুক্রবার এলেই বাজারে অস্থিরতা শুরু হয়ে যায়। আমি মনে করি, অতিরিক্ত দাম বাড়ায় বাজার কর্তৃপক্ষ দায়ী। কারণ সময় বুঝে তারা দাম বাড়ায়। মূল্যবৃদ্ধি করলে জরিমানাসহ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের কর্মকর্তারা।
এদিকে চাহিদার তুলনায় গ্যাসের সিলিন্ডারের সরবরাহ কম থাকায় ডিপো থেকে বাজারে গ্যাস সিলিন্ডার কম সরবরাহ করা হচ্ছে। বরিশাল নগরীর রুপাতলি এলাকায় একটি ডিপোতে গ্যাসের সিলিন্ডার ওঠানোনামানোর কাজে ব্যস্ত শ্রমিকেরা ভোক্তা পর্যায়ে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম একলাফে ২৬৬ টাকা বাড়লেও বরিশালের খুচরা বাজারে তা ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা পর্যন্ত বেশি রাখা হচ্ছে। এই দাম দিয়েও গ্যাস পাচ্ছেন না নগরবাসী।  ১০ দোকান ঘুরে বেশি দাম দিয়ে গ্যাস কিনতে হচ্ছে। জ্বালানি ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় এর চাপ পড়ছে সংসারে। এর ফলে ক্ষুব্ধ হচ্ছেন ক্রেতারা।

Share This Article