ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে দেশে ফিরেছেন আলোকচিত্রী, মানবাধিকারকর্মী ও দৃকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহিদুল আলম।
শনিবার (১১ অক্টোবর) ভোরে তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুল হয়ে ঢাকায় পৌঁছান তিনি।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, বাংলাদেশি পাসপোর্ট দেখে ইসরায়েলি সেনারা ক্ষিপ্ত হয়ে তা মাটিতে ছুড়ে ফেলে দেয়। এই অপমানের বিচার আদায় করতে হবে।
গত বুধবার গাজাগামী নৌবহর ‘ফ্রিডম ফ্লোটিলা’ দখল করে ইসরায়েলি বাহিনী। ওই বহরের ‘কনশানস’ নামের জাহাজে ছিলেন শহিদুল আলমসহ বিভিন্ন দেশের মানবাধিকারকর্মী ও সাংবাদিকরা। ইসরায়েলি সেনারা তাদের আটক করে কারাগারে নিয়ে যায়।
শহিদুল আলম জানান, বাংলাদেশি পাসপোর্ট দেখে ইসরায়েলি সেনারা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং সেটি মাটিতে ছুড়ে ফেলে। এটি তার জন্য খুবই অপমানজনক ছিল। একটি দেশের পাসপোর্ট এভাবে অপমান করা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এর ন্যায়বিচার আদায় করতে হবে।
ইসরায়েলের কারাগারে কঠিন সময় পার করার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে তিনি বলেন, আমাদের উপর নির্যাতন হয়েছে, কঠিন সময় কেটেছে। তবে গাজার মানুষ যে অবস্থায় আছে, তার তুলনায় আমাদের কষ্ট কিছুই না। গাজাবাসী যতক্ষণ মুক্ত না হয়, আমাদের কাজ শেষ হয়নি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের মতো আরও হাজার ফ্লোটিলা যাওয়া দরকার, যতদিন না ফিলিস্তিন স্বাধীন হয়। আমাদের আসল সংগ্রাম এখনো বাকি আছে।
বাংলাদেশের মানুষের দোয়া ও ভালোবাসা তাকে ফিরে আসার সুযোগ করে দিয়েছে জানিয়ে তিনি বাংলাদেশ সরকার, তুরস্ক সরকার ও তার মুক্তির জন্য যারা চেষ্টা করেছেন সবাইকে ধন্যবাদ জানান।