ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলা নির্বাচনে এক চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর প্রধান নির্বাচন সমন্বয়কের গাড়িতে হামলা ও গাড়ি চালককে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উপজেলার চান্দুরা-আখাউড়া সড়কের কালিসীমা নামক স্থানে ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী নাসিমা মুকাই আলী’র প্রধান নির্বাচন সমন্বয়ক হেলাল উদ্দিন ভূঁইয়ার গাড়িতে হামলা করে চালকের হাত ভেঙ্গে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করা হয়।
ঘোড়া প্রতীকের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট মুকাই আলী সাংবাদিকদের কাছে এমন অভিযোগ করেন। এছাড়া এ বিষয়ে বিজয়নগর থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
সাংবাদিকদের কাছে মুকাই আলী বলেন, বিজয়নগরের চান্দুরা ডাকবাংলোর মোড়ে প্রতিপক্ষ আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. আল জাবের ওরফে জাবেদ আহমেদের ‘হোন্ডা বাহিনী’র কয়েকজন দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছিলেন। তারা আমাদের নির্বাচন সমন্বয়ক হেলাল উদ্দিনের গাড়িকে পেছন দিক থেকে ফলো করে কালিসীমা সেতুর দক্ষিণ পাশে এসে হামলা করে।
হামলাকারিরা গাড়িচালকের কাছে হেলাল উদ্দিনের অবস্থান জানতে চান। গাড়িচালক ফাহিম মিয়া তাদেরকে কিছু না বলায় ক্ষিপ্ত হয়ে তারা কাঠের রোল দিয়ে তার বাম হাতে আঘাত করে।
তিনি বলেন, এর আগেও আদমপুর এলাকায় নাসিমা মুকাই আলী’র অস্থায়ী নির্বাচনী ক্যাম্পে অগ্নিসংযোগ এবং প্রচারণার কাজে ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস ভাংচুর করা হয়। এছাড়াও রামপুর এলাকায় নাসিমা’র গাড়িবহরের গতিরোধ করে প্রতিপক্ষ আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর ‘হোন্ডা বাহিনী’। এসময় তারা নাসিমা মুকাই আলী’র উপর আক্রমণ করারও চেষ্টা করে।
এ অবস্থায় আগামি ৫ জুন অনুষ্ঠিতব্য উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হওয়া নিয়ে শংকা প্রকাশ করেন তিনি।
এদিকে, হামলার অভিযোগের প্রসঙ্গে আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. আল জাবের ওরফে জাবেদ আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এমন অভিযোগ নতুন নয়। বিগত এক মাস যাবৎ আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও তার লোকেরা এমন আজগুবি অভিযোগ করে যাচ্ছেন। এ পর্যন্ত তারা প্রশাসনের কাছে কোন একটি ঘটনারও প্রমান দিতে পারে নাই। প্রত্যেকটি ঘটনাই ভূয়া ও সাজানো।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, চেয়ারম্যান প্রার্থী নাসিমা মুকাই আলী’র প্রধান নির্বাচন সমন্বয়ক হেলাল উদ্দিন ভূঁইয়া এ ব্যাপারে বিজয়নগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন। তার দেওয়া অভিযোগের বিষয়টি যাচাই-বাছাই করে দেখছে পুলিশ। তদন্তে সত্যতা পাওয়া গেলে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।