বিজয় দিবসের সরকারি কর্মসূচি চূড়ান্ত

বাংলাদেশ চিত্র ডেস্ক

প্রতিবছরের মতো এ বছরও ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে সরকার।

সম্প্রতি মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই আজমের সভাপতিত্বে জাতীয় কর্মসূচি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এসব কর্মসূচি চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

সভার কার্যপত্র থেকে জানা গেছে, বিজয় দিবসে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ঢাকায় ৩১ বার তোপধ্বনি হবে। একই সময় দেশের সব জেলা ও উপজেলায়ও ৩১ বার তোপধ্বনি হবে।

এদিন সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রথমে রাষ্ট্রপতি ও পরে প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এরপর মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টার নেতৃত্বে উপস্থিত বীরশ্রেষ্ঠ পরিবারের সদস্য, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধারা পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। বিদেশি কূটনৈতিকরাও স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন।

বিজয় দিবসের দিন সকাল ৯টায় সব বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সংগীত পরিবেশন এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীদের সমাবেশ ও কুচকাওয়াজ হবে। জেলা ও উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান হবে।

এছাড়া ওই দিন দেশের সব হাসপাতাল, জেলখানা, বৃদ্ধাশ্রম, এতিমখানা, পথশিশু পুনর্বাসন কেন্দ্র, প্রতিবন্ধী কল্যাণ কেন্দ্র, ডে-কেয়ার ও শিশু বিকাশ কেন্দ্র এবং শিশু পরিবার ও ভবঘুরেদের নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রীতিভোজের আয়োজন করা হবে।

বিজয় দিবসের দিন বঙ্গভবনে বীরশ্রেষ্ঠ পরিবারের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান হবে। বিজয় দিবস উপলক্ষে স্মারক ডাক টিকিট প্রকাশের সিদ্ধান্ত হয়েছে বলেও কার্যপত্রে জানানো হয়েছে।

বিজয় দিবেসের দিন সব জেলা এবং উপজেলায় তিন দিনব্যাপী অনাড়ম্বরপূর্ণ বিজয় মেলা এবং জেলা-উপজেলা পর্যায়ে শিশুদের অংশগ্রহণে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক রচনা, আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে।

অন্যান্য বছরের মতো এবারও ১৬ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম, খুলনা, মোংলা ও পায়রা বন্দর, ঢাকার সদরঘাট, নারায়ণগঞ্জের পাগলা, বরিশালসহ বিআইডব্লিউটিসির ঘাটে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের জাহাজ একক বা যৌথভাবে এবং চাঁদপুর, মুন্সিগঞ্জ লঞ্চঘাটে কোস্টগার্ডের জাহাজগুলো জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত রাখা হবে।

একইসঙ্গে ঢাকাসহ দেশের সব জেলা-উপজেলা পর্যায়ে সিনেমা হলগুলোতে ছাত্রছাত্রীদের জন্য বিনা টিকিটে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শনী এবং মিলনায়তন বা উন্মুক্ত স্থানে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সরবরাহ করা বস্তুনিষ্ঠ ও নৈর্ব্যক্তিক মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনের আয়োজন করা হবে।

Share This Article