বিমানবন্দরে দায়িত্ব পালনকালে এক অঙ্গীভূত আনসার সদস্যের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের ঘটনায় প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। তাকে ঘটনাস্থলেই আটক করে পরবর্তীতে স্থায়ীভাবে চাকরি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
আজ শুক্রবার সকালে বাহিনীর গণসংযোগ কর্মকর্তা ও উপপরিচালক মো. আশিকউজ্জামান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৫ নভেম্বর রাতে অন্যান্যদের মতো নাইট শিফটে দায়িত্ব পালন করছিলেন অভিযুক্ত অঙ্গীভূত আনসার সদস্য জেনারুল ইসলাম। তিনি লোভের বশবর্তী হয়ে রিপুর তাড়নায় ব্যক্তিগত প্রয়োজনের কথা বলে পোড়া ভবনের ভেতরে ভস্মীভূত দ্রব্যাদি হতে অনৈতিকভাবে কিছু বাটন ফোন লুকিয়ে বের করার চেষ্টা করে ঘটনাস্থলেই ধরা পড়েন। পরে ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনা করে, শৃঙ্খলাভঙ্গজনিত অপরাধে তাকে তাৎক্ষণিক চাকরি থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে। দ্রুততম শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দৃষ্টান্ত স্থাপন করে বাহিনীর সদস্যদের দীর্ঘদিনের অনৈতিক চর্চার ক্ষেত্রগুলো ধীরে ধীরে হ্রাস পেলেও আরও অধিক মনস্তাত্ত্বিক ব্যবস্থাপনা ইতিমধ্যে জোরদার করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, রাষ্ট্রের সংবেদনশীল ও ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনায় স্বল্প বেতনে দায়িত্ব পালন করা সদস্যদের মানসিক প্রেষণা বজায় রাখতে বাহিনী প্রধান ইতিমধ্যে পে কমিশনের চেয়ারম্যানের কাছে যৌক্তিক বেতন বৃদ্ধির প্রস্তাব পাঠিয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও কেপিআই এলাকাগুলোতে আনসার সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে সততা, দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। কোনো সদস্যের ব্যক্তিগত অনিয়ম বা শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে বাহিনীর সামগ্রিক ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হোক—তা কখনোই কাম্য নয়। বাহিনী আশাবাদী দ্রুততর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা এবং কল্যাণধর্মী উদ্যোগের মাধ্যমে এ ধরনের বিচ্ছিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ড ভবিষ্যতে আরও কমে আসবে এবং জিরো টলারেন্স নীতির আওতায় সম্পূর্ণরূপে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে।