
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ‘বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুন লাগার সময় সেখান থেকে আসলেই অস্ত্র চুরি হয়েছে কিনা তা এখনও নিশ্চিত নয়। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।’
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সচিবালয়ে কোর কমিটির বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘সোমবার একটি দল জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য তাদের প্রার্থী ঘোষণা করেছে। যে কারণে দেশের কয়েকটি জায়গায় কিছু ঘটনা ঘটেছে। কোর কমিটির বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘পুলিশ কমিশন গঠনের বিষয়ে বৈঠকে কোনও আলোচনা হয়নি।’ তবে কমিশন হওয়ার ব্যাপারে তিনি আশাবাদী বলে জানিয়েছেন। আর কমিশন গঠন হওয়ার পর কী কী সুবিধা থাকবে তা জানা যাবে।
বিগত সময়ে লুট হওয়া অস্ত্র এবং বিমানবন্দরে কার্গো ভিলেজে আগুন লাগার সময় স্টোর রুম থেকে অস্ত্র চুরির বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সিনিয়র সচিব ওই কমিটির প্রধান। তিনি বেশ কয়েকটি দেশে চিঠি দিয়েছেন। দুই-একটা দেশ থেকে এক্সপার্টরা ইতোমধ্যেই এসেছেন। তবে আসলেই সেখান থেকে অস্ত্র চুরি হয়েছে কিনা তা তদন্তের পর জানা যাবে। এ বিষয়ে সিনিয়র সচিব নিজেও অনুসন্ধান করছেন। চুরি যদি হয় তাহলে কার মাধ্যমে হয়েছে এবং কে দায়ী তাকেও আইনের আওতায় আনা হবে। এখন পর্যন্ত কয়টি অস্ত্র চুরি হয়েছে বা আদৌ চুরি হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।’
নির্বাচনে সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার থাকবে কিনা এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার চলমান আছে।’
বিগত আওয়ামী আমলে হওয়া নির্বাচনে কাজ করা ওসিদের বিষয়ে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘আমাদেরও সীমাবদ্ধতা রয়েছে। বিগত ৩টি নির্বাচনেই যারা কাজ করেছেন তাদের প্রথমে বাদ দেওয়া হবে। তবে নতুন করে ওসি নিয়োগ দেওয়া এই মুহূর্তে সম্ভব নয়।’