বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ কুদ্দুসকে চাঁদপুর-২ আসনের এমপি হিসেবে পেতে চান তৃণমূল নেতা-কর্মীরা

বাংলাদেশ চিত্র ডেস্ক

চাঁদপুর জেলা প্রতিনিধি ::

চাঁদপুর-২ আসন থেকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী তৃণমূল আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ কুদ্দুস। বর্তমানে তিনি মতলব উত্তর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য হিসেবেও রাজনীতিতে সম্পৃক্ত আছেন তিনি।

বিগত প্রায় ৫০ বছর যাবৎ রাজনৈতিক জীবন পাড় করছেন এবং মতলবে তৃণমূল আওয়ামী লীগের রাজনীতি টিকিয়ে রেখেছেন এমএ কুদ্দুস। দলের দুর্দিনে তিনি ছিলেন তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের আশ্রয়স্থল। সুখে দুঃখে কর্মীদের পাশে ছিলেন, খোঁজ খবর রেখেছেন এবং আওয়ামী লীগ সরকার বিরোধী দল থাকাবস্থায়ও তিনি দলীয় কার্যক্রম চালিয়েছেন সাহসিকতার সাথে। যার ফলশ্রুতিতে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ কুদ্দুসকেই সংসদ সদস্য হিসেবে পেতে চান উপজেলা, ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগে ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ কুদ্দুস এর সংক্ষিপ্ত জীবন বৃত্তান্ত তুলে ধরা হল: শিক্ষাগত যোগ্যতা বি. এ. পাশ। মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় নং- ০১১৩০০০২৫৮২। পিতা: আলহাজ্ব মো: রজ্জব আলী মুন্সী, সাবেক চেয়ারম্যান, (মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ, বাসস্থান ও খাবারের ব্যবস্থা করেছেন। মাতা: মরহুমা ফাতেমা, খাতুন (গৃহিনী), (মুক্তিযোদ্ধাদের খাবার ও রান্নার দায়িত্ব নিয়েছিলেন)। বড় ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আলহাজ্ব মুহাম্মদ আব্দুল হান্নান, সাবেক অতিরিক্ত সচিব, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। মেজ ভাই যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা এম.এ. ওয়াদুদ- সাবেক সেনা কর্মকর্তা, অধিনায়ক ৭১ রনাঙ্গন, বার বার নির্বাচিত কমান্ডার, চাঁদপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড। বড় বোন সুফিয়া খাতুন, বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নুল আবেদীন, সদস্য উপজেলা আওয়ামী লীগ, কচুয়া, চাঁদপুর। ২য় বোন: আফিয়া ভাতুন, বীর মুক্তিযোদ্ধা লিয়াকত আলী, কাউন্সিলর পৌরসভা ও সভাপতি, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ, মতলব পৌরসভা। ৩য় বোন: লতিফা ইয়াসমিন কনা, স্বামী গোলাম মোস্তফা সরকার, সদস্য- উপজেলা আওয়ামী লীগ, মতলব উত্তর, চাঁদপুর। ছোট ভাই সাজেদুল মালেক, জার্মান প্রবাসী, সদস্য- জার্মান আওয়ামী লীগ। কনিষ্ট তাই: সাজেদুল হাসান বাবু (বাতেন), আওয়ামী লীগ মনোনীন দুইবারের সফল চেয়ারম্যান, সাবেক ছাত্র নেতা তোলারাম কলেজ, সদস্য, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ।

স্থানীয় সরকার: সাবেক চেয়ারম্যান, ইসলামাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদ, মতলব উত্তর, চাঁদপুর। আদর্শ: সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। রাজনৈতিক সাধারন সম্পাদক, ভিপি- গভঃ কমার্শিয়াল ইনস্টিটিউট ছাত্রলীগ, ছাত্র-ছাত্রী সংসদ, মোহাম্মাদপুর, ঢাকা (১৯৭৪)। এরশাদ, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের হামলা ও অর্ধ শতাধিক মামলার আসামী হয়েছেন। সাংগঠনিক সম্পাদক, ঢাকা নগর ছাত্রলীগ (১৯৭৫)। আহ্বায়ক, আওয়ামী যুবলীগ, সাংগঠনিক সম্পাদক- আওয়ামী লীগ, বৃহত্তর মতলব থানা শাখা, চাঁদপুর (১৯৯০-২০০০)। যুগ্ম আহŸায়ক ও সাধারণ সম্পাদক- উপজেলা আওয়ামী লীগ মতলব উত্তর, সদস্য- চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগ।

যুদ্ধক্ষেত্র: ১৮ অক্টোবর’৭১ ঘিলাতলী, মতলব, চাঁদপুর। ২৫ অক্টোবর’৭১ ষাটনল, মতলব, ১২ নভেম্বর একলাছপুর। ২০ নভেম্বর ৭১ ঐতিহাসিক গোয়ালমারী যুদ্ধ, দাউদকান্দি, কুমিল্লা। সামাজিক বহু সামাজিক সংগঠনে নিবিড়ভাবে জড়িত, অসহায় ও দুস্থ মানুষদের সহযোগিতা করা। প্রধান উপদেষ্টা- মতলব হেল্পলাইন। শিক্ষা: প্রতিষ্ঠাতা দাতা সদস্য- সুজাতপুর ডিগ্রি কলেজ, সভাপতি- সুজাতপুর নেছারিয়া উচ্চ বিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠাতা- সুজাতপুর কিন্ডার গার্টেন। ক্রীড়া ও প্রতিষ্ঠানে দান: সুজাতপুর ডিগ্রি কলেজ, সুজাতপুর নেছারিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, কিন্ডার গার্টেন, ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, ভূমি অফিস, ডাকঘর ও সুপেয় পানির জন্য দান করা হয়েছে প্রায় ৫.০০ (পাঁচ একর জমি, ৩ কোটি টাকার বেশি নগদ দান)। প্রতিরোধ কার্যক্রম: ইভটিজিং, বাল্যবিবাহ, মাদকাসক্তি, সন্ত্রাস, অসামাজিক কার্যকলাপ প্রতিরোধ এবং নিরাপদ সড়ক ব্যবস্থা বাস্তবায়ন ও পরিচালনা করে আসছেন। মাসনিক প্রশান্তি: সমাজে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন মানুষের মাঝে প্রচার করা। শখ: নৌকা ভ্রমণ, ঘুড়ে বেড়ানো, সিনেমা দেখা, পত্রিকা পড়া, বই পড়া, মানুষের কল্যাণে কাজ করা, অজানাকে জানা। সাংস্কৃতিক প্রধান উপদেষ্টা- বাংলাদেশ বাউল সমিতি। ক্রীড়া: সভাপতি আহরণী ক্রীড়া চক্র ও ও নাজমুল করিম ফুটবল গোল্ডকাপ টুর্নামেন্ট।

ভ্রমন- ভারত, ব্যাংকক, মালয়েশিয়া, সিংঙ্গাপুর, নেপাল, ভূটান, সুইডেন, জার্মান, ফ্রান্স, স্পেন, অস্ট্রিয়া, শ্রীলংকা, ইন্দোনেশিয়া, সমগ্র ইউরোপ ইতালি, সুইজারল্যান্ড, হল্যান্ড, বেলজিয়াম, ফিনল্যান্ড, নেদারল্যান্ড, পুর্তুগাল, ডেনমার্ক নিউজিল্যান্ড ও ক্রোসিয়া। সভাপতি- পানি ব্যবস্থাপনা ফেডারেশন এমডিআইপি ও জাতীয় পানি ব্যবস্থাপনা ফেডারেশন বাংলাদেশ, বাপাউবো। গর্ববোধ করেন একজন কৃষক হতে পেরে। পেশা: ব্যবসা। পারিবারিক জীবন: স্ত্রী- গৃহিনী, মেয়ে- অনার্স মাস্টার্স, ফ্যাশন ডিজাইনার। ছেলে- অধ্যায়রত কিংস কলেজ অব লন্ডন, সহ-সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। ধর্মীয়: সভাপতি- সুজাতপুর বায়তুল নাযাত জামে মসজিদ, সুজাতপুর কেন্দ্রীয় মসজিদ, ঈদগাহ ও সাদুল্লাপুর সুফী দরবার। উপদেষ্টা- পূজা কমিটি ও হিন্দু, বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদ, মতলব। বসবাস: প্রিয় নিজ গ্রামে।

নির্বাচন দায়িত্ব: ১৯৭০ সাল থেকে জাতীয় নির্বাচন সহ সকল স্তরের নির্বাচনে অদ্যাবধি আহ্বায়ক/যুগ্ম আহ্বায়ক ও অন্যান্য স্তরে থেকে নির্বাচনে সহযোগী ছিলাম। দিনের শুরু: ফজর নামাজ আদায়, তসবিহ তাররিফসহ পবিত্র কোরআন পাক পাঠ করা। অন্যান্য ধর্মালম্বীদেরকে সার্বিক সহযোগিতা করা।

Share This Article