
নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় নিলুফা ইয়াছমিনের সাথে ভাসুর সফিকুল আলম সোহাগের সাথে সম্পত্তির দ্বন্ধের জের ধরে ভাসুরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বেগমগঞ্জের পৌর করিমপুরের দক্ষিন বাজারের মৃত মোবারক উল্ল্যাহর মেয়ে এবং ভাসুরের ছোট ভাই ফখরুল ইসলাম মিরুর স্ত্রী নিলুফা ইয়াছমিন। হাজিপুর ইউনিয়নের চৌমুহনী পৌরসভার রোমানা কাডেটজ বাড়ির মৃত হাজী আবদুল মন্নানের ছেলে ভাসুর সফিকুল আলমের থেকে প্রায় ১০ বছর আগে একটি দোকান ক্রয় করেন নিলুফা ইয়াছমিন।
নিলুফা ইয়াছমিন জানায়, আমার স্বামী প্রবাসে থাকায় সফিকুল আলম দীর্ঘদিন যাবৎ দোকান নিয়া আমার উপর জুলুম অত্যাচার করে আসছে। সে সুবাধে তিনি আমার ক্রয়কৃত দোকান নিয়ে আমার সাথে জোরপূর্বক ভাবে দোকান দখল করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
আমি এবং আমার ছেলে মেয়ে চৌমুহনী দক্ষিন বাজার হাজীপুর মৌজা ৬৩৩ দাগে ভূমিতে মালিক থাকা অবস্থায় দোকান ঘর নির্মাণ করে ভাড়া দিয়ে ভোগ দখলে আছি। এই বিষয়ে উক্ত ভূমি নিয়া নোয়াখালী জেলা প্রশাসক আমাদের পক্ষে রিভিউ ১৪/২০২২-২৩ বছরের চলমান পক্রিয়াধীন আছে।
গত বছর সেপ্টেম্বরের ২৬ তারিখে সকাল সাড়ে ১১ টায় চৌমুহনী দক্ষিন বাজার ষ্টিল ব্রীজ সংলগ্ন আমার ক্রয়কৃত দোকান ঘরের সামনে ভাসুর সফিকুল আলম আমার মালিকানা দোকানের সামনে এসে আমার দোকানের ভাড়াটিয়া জামাল উদ্দিনকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করতে থাকে। আমি প্রতিবাদ করলে ভাসুর সফিকুল আলম আমাকে মারধর করার জন্য সবার সামনে এগিয়ে আসে এবং প্রকাশ্যে হুমকি দিয়ে বলে মামলা মোকদ্দমা করলে হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলবে। তাই আমি এখন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগতেছি।
এই বিষয়ে নিলুফা ইয়াছমিন বাদী হয়ে ২৭ সেপ্টেম্বর বেগমগঞ্জ মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এই ব্যাপারে সফিকুল আলমের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী ফরোয়ানা জারি হলে ১১ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার রাতে ভাসুর সফিকুল আলমকে নিজ বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়। বেগমগঞ্জ মডেল থানার এসআই এরশাদ বিষয়টি নিশ্চিত করে শুক্রবার সকালে কোর্টে প্রেরন করেন বলে জানিয়েছেন।