রংপুরে কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) এলাকা। গুলিবিদ্ধ হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ (২৫) নিহত হয়েছেন।
তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে আন্দোলনকারীরা আরও উত্তেজিত হয়ে পড়েন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (বেলা পৌনে ৪ টা) বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক অবরুদ্ধ করে রেখেছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতাল থেকে আবু সাঈদের লাশ নিয়ে বেরোবির দিকে যাত্রা করতে দেখা গেছে।
এর আগে দুপুরে রংপুর জেলা স্কুলের সামনে জড়ো হন রংপুরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। তাঁরা মিছিল নিয়ে রংপুর জিলা স্কুলের সামনে থেকে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক পর্যন্ত মিছিল নিয়ে হেঁটে যান। এ সময় তাঁদের আটকানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় পুলিশ।
কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে অবস্থান নিলে পুলিশ তাঁদের সেখান থেকে সরানোর চেষ্টা করে। পরে আন্দোলনকারীরা পুলিশের বাধা ভেঙে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করলে শুরু হয় সংঘর্ষ। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মুহুর্মুহু রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল ছুড়তে থাকে। এ সময় আন্দোলনকারীরাও ইট পাটকেল ছুড়তে থাকে। এ সময় ১০ সাংবাদিকসহ শতাধিক আহত হন।
পরে ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা হল থেকে লাঠি, ছোরা, চাপাতিসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আন্দোলনকারীদের ধাওয়া দেয়। দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। একপর্যায়ে শহর থেকে যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা–কর্মীরা যোগ দেয় ছাত্রলীগের সঙ্গে।
পলিটেকনিকের অষ্টম ব্যাচের শিক্ষার্থী সফিকুল ইসলাম বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ এবং ছাত্রলীগের হামলায় এক ছাত্র নিহত হয়েছে। আমাদের ভাইয়ের রক্তের জবাব আমরা দেব।’